সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবুজ গালিচায় পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন এক ব্যক্তি। পিছনে লাল-নীলের রঙে মোড়া এক স্টেডিয়াম। এখনও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। এরকম হয়তো কথা ছিল না। কিছুটা গোপনে তাঁর এই অভিসার। তিনি এই সবুজ গালিচাতেই পা দিতেন। কিন্তু বার্সেলোনার প্লেয়ার হয়ে। এক লক্ষ দর্শকের ক্যাম্প ন্যু স্টেডিয়াম চোখের জলে বিদায় জানাত তাঁদের 'রাজা'কে। কিন্তু সেসব কিছুই হয়নি শেষ পর্যন্ত। লিওনেল মেসির মনে সম্ভবত সেই যন্ত্রণা আজও রয়ে গিয়েছে। বার্সেলোনার স্টেডিয়ামে ফিরে তাই আবেগবিহ্বল হয়ে সে কথা স্বীকারও করে নিলেন। সেই সঙ্গে জল্পনাও শুরু। তাহলে কি নিজের 'ঘরে' ফিরছেন লিওনেল মেসি?
আর্জেন্তিনীয় কিংবদন্তি ইনস্টাগ্রামে কয়েকটি ছবি দিয়েছেন। যা একই সঙ্গে মেসিভক্তদের আবেগপ্রবণ ও আশাবাদী করে তুলতে যথেষ্ট। নবনির্মিত ক্যাম্প ন্যু স্টেডিয়ামে গোপনে ঘুরে গিয়েছেন। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ গোপনে। স্টেডিয়ামে ঢুকে কিংবা তার বাইরে ছবি তুলেছেন। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁর পুরনো চারণভূমিতে। সঙ্গের ক্যাপশনে লিখেছেন, 'গতকাল রাতে আমি সেই জায়গায় ফিরে গিয়েছি, যে জায়গাটা আমি আজও প্রবলভাবে মিস করি। যেই জায়গায় আমি খুশি ছিলাম। যেখানে সবার সঙ্গে মনে হত, আমি বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ। আশা করি, একদিন আবার এখানে ফিরতে পারব। শুধু একজন খেলোয়াড় হিসেবে বিদায় জানাতে নয়। যেমনটা আমি কখনও পারিনি।' সঙ্গে লাল ও নীল রঙের 'লাভ' সাইন। যে রং দুটি বার্সেলোনার।
২০০০ সালে স্পেনের ক্লাবে যুক্ত হন। তারপর ২০০৪ সালে মূল দলে অভিষেক। ক্রমে সব ট্রফি জিতে বার্সেলোনার কিংবদন্তি হয়েছেন। কিন্তু ২০২১ সালে আচমকা বিদায় নিতে হয়। কোভিডের সময় শুধুমাত্র প্লেয়ারদের নিয়েই ফেয়ারওয়েল দেওয়া হয়। স্টেডিয়ামে কোনও অনুষ্ঠান আয়োজন করা যায়নি। তারপর বার্সেলোনায় নানা উত্থানপতন ঘটেছে। বার্সেলোনার স্টেডিয়াম নতুন করে সাজানো হচ্ছে। খেলা শুরু হলেও নতুন করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি। জল্পনা চলছিল, মেসিই হয়তো উদ্বোধনে আসতে পারেন। তাছাড়া আরেকটি বিষয় হল, আগামী বছরের বিশ্বকাপের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে পারবেন না এমএলএসে। সেক্ষেত্রে কি বার্সেলোনায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে? সেই জল্পনা উসকে উঠছে।
