স্টাফ রিপোর্টার: ফুটবলারদের অভাব, প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেই মাঠে নেমে পড়লেন মহামেডান কোচ মেহরাজ উদ্দিন ওয়াডু। সুপার কাপে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি শুরু করেছে মহামেডান। সেই কথা মাথায় রেখেই এদিন ইয়ং কর্নারের সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলল তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যখন দল জিতছিল, তখন প্রথম একাদশকে বদলে দেন মেহরাজ। তাতেই ফুটবলার কম পড়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত ফুটবলার হিসাবে ডিফেন্সে খেলতে নেমে যান মহামেডান কোচ।
এদিন ইয়ং কর্নারের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে নেমেছিল মহামেডান। প্রথমার্ধে যে দল খেলিয়েছিল, দ্বিতীয়ার্ধে স্কোয়াডের সব ফুটবলারকে সুযোগ দিতে পুরো দল বদলে দেন মেহরাজ। তখনই একজন ফুটবলার কম পড়ে। কারণ, মোট ২২ জন ফুটবলার নিয়ে সুপার কাপের প্রস্তুতি শুরু করলেও অফিস খেলার জন্য সজল বাগ সুপার কাপে যেতে পারছে না। স্বাভাবিভাবেই ২২ থেকে সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। এদিন দ্বিতীয়ার্ধে পুরো দল বদলে দিতেই রিজার্ভে থাকা দশ জনের সঙ্গে নিজেও মাঠে নেমে পড়েন মেহরাজ।
এদিন তিনি বলেন, "আমরা ২২ জন নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম। কিন্তু সজল বাগ অফিস খেলতে যাওয়ায় সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছে ২১ এ। আমি সব ফুটবলারকেই এই ম্যাচটায় দেখতে চেয়েছিলাম। পাশাপাশি এটাও চাইনি একটা ফুটবলার পুরো ম্যাচ খেলে চোট পেয়ে যাক। তাই দ্বিতীয়ার্ধে নিজেই নেমেছি।" যদিও ফুটবলারের অভাব মানতে চাননি মহামেডান কোচ।
ফিফা ব্যান থাকায় নতুন ফুটবলার নিতে পারছে না মহামেডান। ডুরান্ডেও বিদেশিহীন দলকেই নামিয়েছিল তারা। সেই প্রতিযোগিতায়ও প্রথম রাউন্ড টপকাতে পারেনি অ্যাডিশনরা। এবার সেই ডুরান্ড কাপের পথে হেঁটেই সুপার কাপ খেলতে যাচ্ছে সাদা-কালো ব্রিগেড। এই প্রতিযোগিতায় নামার আগেও খুব বেশিদিন প্রস্তুতিরও সুযোগ নেই মহামেডানের হাতে। এদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ইয়ং কর্নারকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল মেহরাজের ছেলেরা। বুধবার সুপার কাপ খেলতে গোয়া উড়ে যাচ্ছেন সাজাদ, অ্যাসলে কোলিরা। সুপার কাপে তাদের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসি। এদিন মহামেডানের হয়ে গোল করেন সাকা ও পরিবর্ত ফুটবলার শাহরুখ। ডুরান্ড কাপে ব্যর্থতার আগে কলকাতা লিগে এবার হতশ্রী পারফরম্যান্স করেছে সাদা-কালো ব্রিগেড। এই মরশুমে হীরা মণ্ডল, রবি হাঁসদার মতো ফুটবলারের সঙ্গে চূড়ান্ত কথা বলেও ফিফা ব্যান এসে যাওয়ায় তাদেরকে সই করাতে পারেনি মহামেডান।
