মোহনবাগান: ২ (পাসাং দোরজি তামাং, করণ রাই)
কালীঘাট এমএস: ১ (সুরজিৎ হালদার)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯ তারিখ ডার্বি। তার আগে কালীঘাট মিলন সংঘের বিরুদ্ধে নেমেছিল মোহনবাগান। তাদের লক্ষ্য ছিল, কালীঘাটকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে রাখা। সেই লক্ষ্যে সফল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। কালীঘাটকে ২-১ গোলে হারিয়ে শনিবাসরীয় বড় ম্যাচের আগে ৩ পয়েন্ট এল সবুজ-মেরুন শিবিরে।
দুর্দান্ত শুরু করে মোহনবাগান। বিপক্ষের ফুটবলাররা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সবুজ-মেরুনকে এগিয়ে দেন পাসাং দোরজি তামাং। এরপর প্রেসিং ফুটবল খেলতে থাকে বাগান। যদিও খেলার গতির বিরুদ্ধে গিয়ে ১৮ মিনিটে কালীঘাটকে সমতায় ফেরান সুরজিৎ হালদার। দুরন্ত দূরপাল্লার শটে তাঁর গোলটি ছিল নয়নাভিরাম। গোলের পর উজ্জীবিত ফুটবল খেলতে থাকে কালীঘাট। ২৪ মিনিটে দেবা দত্তের শট বাগান ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এই সময় কালীঘাটের নাসিরুদ্দিন মোল্লা বারবার নজরে আসছিলেন। ৩৪ মিনিটে মোহনবাগান ডিফেন্সকে কাটিয়ে ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ৪০ মিনিটে সবুজ-মেরুনের হয়ে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ হেলায় হারালেন সালাউদ্দিনের জায়গায় নামা গোগোচা। এক্ষেত্রে মিংমা শেরপা মাপা পাস দিয়েছিলেন তাঁকে। প্রথমার্ধ শেষ হয় স্কোরলাইন ১-১ অবস্থায়।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে মোহনবাগান। ৫১ মিনিটে ভেসে আসা বলে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন পাসাং দোরজি। ৫৪ মিনিটে কালীঘাটের রাজেন ওরাওঁ মোহনবাগান উঠে এলেও কাজের কাজ করতে পারেননি। ৫৫ মিনিটে সুযোগ হারান টংসিন। ৬৪ মিনিটে মোহনবাগানের হয়ে ব্যবধান বাড়ান করণ রাই। এরপর দুই দলই কিছু সুযোগ পেলেও আর গোল হয়নি। কালীঘাট এমএসকে ২-১ গোলে হারিয়ে ডার্বির আগে অনেকটাই স্বস্তিতে থাকলেন ডেগি কার্ডোজার ছেলেরা। শনিবাসরীয় বড় ম্যাচে কল্যাণী স্টেডিয়ামেই নামবে সবুজ-মেরুন।
