প্রসূন বিশ্বাস: ত্রিমুকুট জয় থেকে আর মাত্র দুটো ম্যাচ দূরে দাঁড়িয়ে মোহনবাগান। লিগ শিল্ড, আইএসএল কাপ জয়ের পর এবার সামনে সুপার কাপ জয়ের হাতছানি। একঝাঁক তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে পূর্ণশক্তির কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে সেমিতে উঠেছে বাস্তব রায়ের দল। সেখানে গোয়ার বিরুদ্ধে লড়াইটা যে আরও কঠিন, সেটা মেনে নিচ্ছেন মোহনবাগান কোচ। কিন্তু তার জন্য বাড়তি চাপ নিতে চান না। বরং তরুণ ফুটবলারদের তাঁর বার্তা, 'যাও, ৯০ মিনিট উপভোগ করো'।
কোনও নামকরা তারকা নেই। ভরসা বলতে শুধু কয়েকজন আইএসএল খেলা ফুটবলার। আর সব আনকোরা ফুটবলার। কিন্তু কেরালাকে যেভাবে তারা দুরমুশ করে দিয়েছে, তাতে হয়তো অনেকেই চমকে দিয়েছেন। গোয়া ম্যাচেও সেই দর্শন থেকে সরছেন না বাস্তব রায়। তিনি বলছেন, "নতুনদের সুযোগ দিতে চাই আমরা। যারা সিনিয়র আছে, তারা সব সময় ওদের পাশে আছে। সেমিফাইনাল হোক আর যাই হোক, আমি ছেলেদের বলেছি ম্যাচটা উপভোগ করো।"
আর তাঁর দর্শন শুনে মনে পড়তে পারে 'চক দে ইন্ডিয়া' সিনেমার কবির খানের কথা। যে চরিত্রটা করেছিলেন শাহরুখ খান। অনেকটা সেই ঢংয়েই বাস্তব রায় বলছেন, "কেরালার থেকে ভালো দল গোয়া। ম্যাচটা নিঃসন্দেহে কঠিন হবে। কিন্তু আমার ছেলেরাও তৈরি। আমি শুধু একটা কথাই বলি, যাও গিয়ে ৯০ মিনিট উপভোগ করো।"
কেরালার বিরুদ্ধে ম্যাচে চমকে দিয়েছিলেন সালাউদ্দিনরা। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের নিয়ে চর্চা বাড়ছে। কিন্তু সবার কাছে বাস্তব রায়ের অনুরোধ, "নতুন ছেলেদের এক ম্যাচ দিয়ে বিচার করবেন না। তাঁদের খেলতে দিন। এখনই মাথায় তুলবেন না। ওদেরকে ওদের মতো খেলতে দিন। এটা সবার কাছে অনুরোধ।" সেই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, সেমিফাইনাল-ফাইনাল নিয়ে ভেবে চাপ নিচ্ছেন না তিনি। মোহনবাগান কোচের বক্তব্য, "চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে এখনই ভাবছি না। একটা একটা করে ম্যাচ ধরে এগোচ্ছি। প্রতিটা ম্যাচ নিয়ে আলাদা করে ভাবছি। আর আমাদের ২৫ জনই তৈরি।"
সাংবাদিক সম্মেলনে আসা আশিক কুরুনিয়ানের কথাতেও তাঁরই প্রতিধ্বনি শোনা গেল। তিনি বললেন, "যারা নতুন এসেছে, তারা খুবই ভালো। প্রত্যেকেই খুব ভালো খেলছে। আমরা সবাই একে-অপরকে চিনি-জানি। যখন জানলাম, পুরো ভারতীয় স্কোয়াড নিয়ে নামব, তখন খুব খুশি হয়েছিলাম।" তবে একটা বিষয়ে কোচের সঙ্গে মতপার্থক্য রয়েছে আশিকের। তিনি জানালেন, "ভারতের সবচেয়ে বড় ক্লাবের হয়ে খেললে চাপ তো থাকবেই।"
