স্টাফ রিপোর্টার: ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করলেন দেবাশিস দত্ত। যেখানে গত তিন বছরে দেবাশিস দত্তর নেতৃত্বাধীন মোহনবাগান কমিটি কী কী কাজ করেছে, তার খসড়া প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি আগামী দিনে ক্ষমতায় এলে তাঁরা কী করতে চান, তা নিয়েও বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য কী করা হবে, মোহনবাগান দিবসে সেরা সমর্থকদের আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হবে, এরকম নানা প্রতিশ্রুতি।
তবে এদিন দেবাশিস দত্তদের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশে একজন প্রাক্তন ফুটবলারের উপস্থিতি দেখে সকলেই চমকে যান। গত রবিবার হাওড়ায় সৃঞ্জয় বোসের নির্বাচনী জনসভায় ক্লাবের অন্যতম সহ সভাপতি অরূপ রায়ের সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনদিন পর সেই প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেখা গেল সাংবাদিক সম্মেলনে দেবাশিস দত্তর পাশে বসে ইস্তাহার প্রকাশ করতে। এদিন ছিলেন আরও দুই প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য এবং সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে দেবাশিস দত্ত পরিষ্কার জানিয়ে দেন, সচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্যই তিনি মনোনয়ন জমা দেবেন। তবে টুটু বোস যদি সচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন জমা দেন, তাহলে কোনওভাবে তিনি মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচনে (Mohun Bagan Election) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। তবে শর্ত হিসেবে দেবাশিস দত্ত জানান, সেক্ষেত্রে টুটু বোসকে লিখিত জানাতে হবে, সচিব নির্বাচিত হওয়ার পর কোনওভাবেই তিনি সচিব পদ ছেড়ে দেবেন না। একই সঙ্গে জানান, তিনি নির্বাচিত হলে তাঁর কমিটিকে প্রস্তাব দেবেন, টুটু বোসকেই ফের মোহনবাগান সভাপতি করার জন্য।
এই প্রসঙ্গে টুটু বোসকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, "আমি তো আগেই জানিয়ে দিয়েছি সচিব পদে লড়বে সৃঞ্জয়। ওর প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।” দেবাশিসের বক্তব্য প্রসঙ্গে সৃঞ্জয় বলেন, "আমার গ্রুপ আমাকে সচিব পদে প্রার্থী করেছে। দু'মাস ধরে প্রচারও করছি। তা হলে এই কথাগুলো বলার কী মানে জানি না। নির্বাচনের আগে শুধুই ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। উনি এসব বলে ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে চাইছেন।" সেন বাড়ির প্রসঙ্গ উঠলে দেবাশিস দত্ত বলেন, "আমি যদি জিততে না-ও পারি, তাহলেও সেন বাড়িতে মোহনবাগানের অফিস রাখার জন্য আমি সৃঞ্জয়ের সঙ্গে কর্পোরেশনে যেতে চাই। যে-ই জিতুক, এটা নিয়ে লড়াই নয়। কারণ, এটা মোহনবাগানের কাজ।"
