স্টাফ রিপোর্টার: জেসন কামিংসদের ইরানে যাওয়ার ভিসা সমস্যা মিটে গেলেও ৩০ সেপ্টেম্বরের এসিএল ২-এর অ্যাওয়ে ম্যাচে তাঁরা আদৌ নামবেন কি না সেটা এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক এই মুহূর্তে ভালো নয়। গত জুন মাসেই তেহরানে নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এমন কি নিজেদের দেশের নাগরিকদের ইরান ত্যাগের পরামর্শ দিয়েছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ানদের পক্ষে ইরানে যাওয়াটা খুব একটা সুখকর বিষয় নয়।
নিরাপত্তাজনিত প্রশ্নের মুখে রয়েছে বিষয়টি। সেই জন্যই কামিংস, জেমি ম্যাকলারেন, দিমিত্রি পেত্রাতোসরা ভিসা পেয়ে গেলেও আদৌ তাঁরা ইরানে যাবেন কি না সেটা সন্দেহের বিষয়। একই সমস্যার সম্মুখীন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী টম অলড্রেডও। এই সমস্যা যদিও এই প্রথম নয়, গতবারও একই সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল মোহনবাগানকে। কিন্তু ট্রাক্টর এফসি ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগেই যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সেবার ইরানে যায়নি মোহনবাগান। যদিও এর জন্য এসিএল ২-এর বাকি ম্যাচে আর খেলা হয়নি তাদের। গতবারও এএফসি-র কাছে ইরানের ক্লাবের বিরুদ্ধে ম্যাচটি সেদেশ থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে করার আবেদন জানিয়েছিল মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট।
কিন্তু এএফসি সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। এবারও ভেন্যু পরিবর্তন যে হবে তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। আপাতত মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। পরপর দু'দিন বিশ্রামে থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে ফের অনুশীলন শুরু করছে মোহনবাগান। অজি ফুটবলাররা যদি ইরান না যান তাহলে ইরানে অনুষ্ঠিত সেপাহানের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে দল গঠনের কাজ খুবই কঠিন হয়ে পড়বে কোচ জোসে মোলিনার কাছে। হালকা চোট রয়েছে আলবার্তো রডরিগেজেরও। এসিএল ২-এর প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে হারতে হয়েছে রবসন রবিনহোদের।
