শিলাজিৎ সরকার: ৩০ সেপ্টেম্বর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর ম্যাচ রয়েছে মোহনবাগানের। তার আগে জানা গিয়েছে, জেসন কামিংস, জেমি ম্যাকলারেন, দিমিত্রি পেত্রাতোসদের পাশাপাশি বাকি তিন বিদেশিদেরও ইরান যাত্রায় আপত্তি রয়েছে। এমনকী মোহনবাগানের ভারতীয় ফুটবলারদের কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছে, ইরান যাত্রা নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত।
নিরাপত্তাজনিত প্রশ্নের মুখে রয়েছে বিষয়টি। সেই জন্যই কামিংস, ম্যাকলারেন, পেত্রাতোসদের মতোই বাকি তিন বিদেশি ফুটবলারও ইরান যাওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে দেশীয় ফুটবলারদের কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছে ইরান যাওয়ার ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্তর কথা। বিষয়টি শনিবারের মধ্যে জানা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই সমস্যা প্রথম নয়। গতবারও একই সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল মোহনবাগানকে। ট্রাক্টর এফসি ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগেই যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সেবার ইরানে যায়নি মোহনবাগান। এর জন্য এসিএল ২-এর বাকি ম্যাচে আর খেলা হয়নি তাদের। গতবারেরও মতো এবারেও এএফসি'র কাছে ইরানের ক্লাবের বিরুদ্ধে ম্যাচটি সেদেশ থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে করার আবেদনও জানিয়েছিল মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। যদিও এএফসি এই আবেদনে সাড়া দেয়নি। তাদের বক্তব্য, ইরানে নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস্যা নেই। প্রশ্ন হল, কীসের ভিত্তিতে এএফসি এমন নিশ্চয়তা দিচ্ছে? যেখানে পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি অনেকদিন ধরেই অশান্ত।
প্রসঙ্গত, শনিবারই ইরান যাওয়ার কথা সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের। তার আগে ফুটবলারদের মতামতের উপর ভিত্তি করেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে ম্যানেজমেন্ট। উল্লেখ্য, দু’দিন বিশ্রামে থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে ফের অনুশীলন শুরু করছে মোহনবাগান। বিদেশি ফুটবলাররা ইরান না গেলে সেপাহানের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে দল গঠনের কাজ খুবই কঠিন হয়ে পড়বে কোচ জোসে মোলিনার কাছে। হালকা চোট রয়েছে আলবার্তো রডরিগেজেরও। এসিএল ২-এর প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে হারতে হয়েছে রবসন রবিনহোদের। সেই কারণে আগামী ম্যাচে জেতা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই মোহনবাগানের কাছে। এখন দেখার, সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা ইরান যাওয়ার ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেন।
