shono
Advertisement
Mohun Bagan

ডেম্পোর রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ কামিন্স-ম্যাকলারেনরাও, ডার্বির আগে ড্র করে চাপে মোহনবাগান

ইস্টবেঙ্গলের পর মোহনবাগানকেও আটকে দিল ডেম্পো।
Published By: Subhajit MandalPosted: 09:27 PM Oct 28, 2025Updated: 09:42 PM Oct 28, 2025

মোহনবাগান: ০
ডেম্পো: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কামিন্স, ম্যাকলারেন, রবসন, পেত্রাতোস। এক এক করে নিজের সব অস্ত্রকেই মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ জোসে মোলিনা। কিন্তু ১১ জন ভারতীয় ছেলের নাছোড় রক্ষণ কিছুতেই ভাঙতে পারলেন না তিনি। যেমনটা আগের ম্যাচে পারেননি ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করে মোহনবাগানকে আটকে দিল ডেম্পো। যার অর্থ, ডার্বিতে নামার আগে চাপ বেড়ে গেল মোহনবাগানের উপর।

Advertisement

ন’বছর আগে ভারতীয় ফুটবলের মূলস্রোত থেকে সরে গিয়েছিল ডেম্পো। পাঁচবারের ভারতসেরা ক্লাব কয়েক বছর আগে শুরু করে প্রত্যাবর্তনের লড়াই। একটা-একটা ধাপ হয়ে আপাতত আই লিগে উঠে এসেছে তারা। এবারের সুপার কাপে কলকাতার দুই প্রধানকে আটকে দিয়ে প্রচারের সব আলো কেড়ে নিল তাঁরা। মঙ্গলবার গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়নদের আটকে দিয়ে ডেম্পো বুঝিয়ে দিল, ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ড্র করাটা মোটেই অঘটন ছিল না।

খাতায় কলমে ডেম্পোর চেয়ে কয়েক গুণ এগিয়েছিল মোহনবাগান। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন খেলা হবে একপেশে। বলতে গেলে, ম্যাচের বেশিরভাগ সময় খেলা ডেম্পোর অর্ধেই হয়েছে। কামিন্স, সাহালরা আক্রমণ করে গিয়েছেন আর ডেম্পোর ডিফেন্ডাররা প্রাণপণ লড়াই করে গিয়েছেন। উইং থেকে একের পর এক মাইনাস করে গিয়েছে মোহনবাগান আর বক্সে ব্লক করেছেন ডেম্পোর ছেলেরা। বস্তুত গোটা ম্যাচে সিংহভাগ বল দখলে রাখলেও ফাইনাল থার্ডে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি সবুজ-মেরুন শিবির। কয়েকটি ক্ষেত্রে বক্সের ভিতর থেকে শট নেওয়ার সুযোগ পেলেও আশিস রাই, কামিন্সরা গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি। খেলার সংযুক্ত সময়ে এসে মনবীর একের বিরুদ্ধে এক সুযোগ নষ্ট না করলে হয়তো খেলার ফল মোহনবাগানের পক্ষেই যেত। সুযোগ অবশ্য আগে রবসন, দিমিরাও মিস করেছেন। সব মিলিয়ে ১৮টি শট গোল লক্ষ্য করে মেরেছে মোহনবাগান। এর মধ্যে টার্গেটে মোটে ৩টি। লক্ষ্যভেদ হয়নি। শেষ পর্যন্ত খেলার পর ০-০।

ডেম্পোর বিরুদ্ধে আটকে যাওয়ার অর্থ ডার্বির আগে চাপে পড়ে গেল সবুজ-মেরুন শিবির। এদিনই চেন্নাইয়িনকে চার গোল দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। যার সুবাদে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে লাল-হলুদ শিবির। মোহনবাগান সমসংখ্যক ম্যাচে একই পয়েন্টে। কিন্তু গোলপার্থক্যে পিছিয়ে থাকার দরুণ সবুজ-মেরুন শিবির দ্বিতীয় স্থানে। যার অর্থ সেমিতে যেতে হল ডার্বি জিততেই হবে মোহনবাগানকে। আর ইস্টবেঙ্গলের চায় ড্র।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • এক এক করে নিজের সব অস্ত্রকেই মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ জোসে মোলিনা।
  • ১১ জন ভারতীয় ছেলের নাছোড় রক্ষণ কিছুতেই ভাঙতে পারলেন না তিনি।
  • যেমনটা আগের ম্যাচে পারেননি ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো।
Advertisement