সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বছর জাপানে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এশিয়ান গেমস। প্রতিযোগিতা চলবে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত। জানা যাচ্ছে, ঐতিহ্যবাহী এই ক্রীড়া আসরে অংশ নিতে পারবে না ভারতের পুরুষ এবং মহিলা ফুটবল দল। কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই অনুযায়ী, দুই দলের শর্ত পূরণ করা কঠিন। তাই ভারতীয় ফুটবল দলকে এশিয়াডের আসরে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল।
ক্রীড়া মন্ত্রকের নয়া নীতির ৪.১.৩ নম্বর অংশে উল্লেখ করা হয়েছে, দলগত ইভেন্টগুলিতে এশিয়ার মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম আট দলের মধ্যে থাকতে হবে। ঘটনাচক্রে পুরুষ বা মহিলা, দুই দলই ক্রমতালিকায় প্রথম আটের মধ্যে নেই। ভারতীয় পুরুষদের দল এই মুহূর্তে এশিয়ার মধ্যে ২৪ নম্বরে। মহিলা দলের এশিয়ান র্যাঙ্কিং ১২। সেই কারণে ক্রীড়া মন্ত্রকের নতুন নীতিতে দুই দলেরই এশিয়াডে অংশগ্রহণ করা কঠিন। ক্রীড়া মন্ত্রকের নতুন নীতি অনুসারে, হকি, বাস্কেটবল, টেনিস, টেবিল টেনিসের মতো খেলাগুলিতেও ক্রমতালিকায় ভারতকে থাকতে হবে এশিয়ার প্রথম আটের মধ্যে।
প্রশ্ন হল, প্রথম আটের মধ্যে না থাকলেও কি সুযোগ মিলবে এশিয়ান কাপে যাওয়ায়? উত্তর হল হ্যাঁ। সেক্ষেত্রে আগামী এক বছরের মধ্যে সেই দলকে এশিয়া র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি ঘটিয়ে প্রথম আটের মধ্যে উঠে আসতে হবে। এরপর আয়োজকদের কাছে নাম নথিভুক্ত করার শেষ দিনের ১০ দিন আগে সেই দল বা ক্রীড়াবিদদের এশিয়াডে নিয়ে যাওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এশিয়ান কাপে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে ভারতীয় মহিলা ফুটবল দল। সেই প্রতিযোগিতায় শেষ আটে পৌঁছাতে পারলে জাপানে এশিয়াডে খেলার টিকিট পেয়ে যাবেন সঙ্গীতা বাসফোররা। কিন্তু সন্দেশ জিঙ্ঘানদের সেই সুযোগ নেই। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালেও এশিয়াডে ফুটবল দল পাঠানোর অনুমতি দেয়নি ক্রীড়া মন্ত্রক। ২০২৩ সালেও প্রথমে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি ভারতীয় ফুটবল দলকে। পরে এআইএফএফের উদ্যোগে অবশেষে এশিয়ান গেমস খেলার সুযোগ পায় ভারতীয় দল। তাই এ ব্যাপারে ফেডারেশন ফের হস্তক্ষেপ করে কি না, সেটাও দেখার। ১৯৫১ এবং ১৯৬২ সালে এশিয়ান গেমসে দু'টি স্বর্ণপদক জেতার নজির রয়েছে ভারতীয় পুরুষ দলের। তাছাড়াও ১৯৭০ সালে ব্রোঞ্জ পদকও রয়েছে ভারতের। এরপর থেকে এশিয়াডে সাসল্য বলতে ১৯৮২ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া।
