সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল নাগপুর-হায়দরাবাদগামী এক এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। আকাশ থেকে তার একটি চাকা খুলে মাটিতে পড়ে গেলেও তৎপরতার সঙ্গে এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করিয়ে বিপর্যয় এড়াতে সক্ষম হলেন বিমান চালক।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, নাগপুর (Nagpur) থেকে হায়দরাবাদ (Hyderabad) যাচ্ছিল বিমানটি। তাতে ছিলেন একজন রোগী ও একজন চিকিৎসক। কিন্তু আকাশে ওড়ার পরই ত্রুটি দেখা যায় বিমানটির যন্ত্রাংশে। তার একটি চাকা খুলে মাটিতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটিকে এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করানো হবে।
[আরও পড়ুন: গাছ থেকে ঝুলছে স্যালাইনের বোতল! মধ্যপ্রদেশে মাঠের মধ্যেই করোনার চিকিৎসায় ব্যস্ত হাতুড়েরা]
দ্রুত তাতে সফলও হন বিমান চালক। পরিকল্পনা মতো, মুম্বই (Mumbai) বিমানবন্দরে সেটিকে নামানো হয়। জানা গিয়েছে, রোগী, চিকিৎসক ও বিমানকর্মীরা সকলেই নিরাপদে ও অক্ষত অবস্থাতেই আছেন। তবে অবতরণ খুব সহজ ছিল না। ল্যান্ডিং গিয়ার ব্যবহার না করে বেলি ল্যান্ডিংয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন বিমান চালক। অর্থাৎ বিমানের চাকা ভিতরে না ঢুকিয়েই তাকে মাটিতে নামিয়ে আনা। সেই কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রানওয়েতে ফোমের বন্দোবস্ত করেছিলেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। উদ্দেশ্য, যাতে কোনও ভাবেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
উত্তেজিত ছিলেন বিমানচালক কেশরী সিংও। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘যখন দেখলাম বিমানটির চাকা খসে পড়ে গিয়েছে, তখন বুঝেছিলাম নামতে হলে অনেকটা জ্বালানি পোড়াতে হবে। আমি বেলি ল্যান্ডিংয়ের পক্ষে ছিলাম। তবে জানতাম না রানওয়ের কোনও ক্ষতি হবে কিনা। অবশেষে সব কিছু ঠিক ভাবে মেটায় এবার স্বস্তি।’’
প্রসঙ্গত, বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানচালক বেশ টেনশনে ছিলেন ওই ঝুঁকিবহুল অবতরণের আগে। তবে শেষ পর্যন্ত ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় তিনি সফল হন একদম নিরাপদে বিমানটিকে অবতরণ করাতে।
[আরও পড়ুন: অসমের মুসলিম এলাকায় ফুটল না পদ্ম, ব্যর্থতায় দলের সংখ্যালঘু সেল-ই তুলে দিল BJP]