সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ফের একবার পাকিস্তানকে তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এজন্য তিনি বেছে নিলেন জি—২০ শীর্ষ সম্মেলনের মঞ্চকে। নিজেদের কাজ হাসিল করতেই হিংসা, সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় নিচ্ছে বিশ্বের কয়েকটি দেশ। জি-২০-র সদস্য দেশগুলিকে এজন্য একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। জানিয়ে দিলেন মোদি।
[চলবে বৃষ্টির দাপট, জানাল আবহাওয়া দপ্তর]
হামবুর্গে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ একাধিক রাষ্ট্রনেতারা। তাঁদের সামনেই বক্তব্য রাখেন মোদি। বললেন, ‘বিশ্বের কয়েকটি দেশ সন্ত্রাসবাদকে তাদের জাতীয় নীতি বানিয়েছে। আর সেটা প্রয়োগ করে সারা বিশ্বকে ক্ষতবিক্ষত করে তুলছে। এরকমভাবেই দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের প্রতিবেশী দেশটিও সন্ত্রাসবাদে উসকানি দিয়ে পরিবেশ বিষাক্ত করে তুলেছে। তারা তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের জন্য সন্ত্রাসকে একটি যন্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে কোনও বাছবিচার না করে বিশ্বের সব দেশকে এক হয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। না হলে সন্ত্রাস কখনই বন্ধ হবে না।’ এর সঙ্গেই মোদি আরও যোগ করেন, মধ্য আফ্রিকায় বিভীষিকা কায়েম করেছে বোকো হারাম। মধ্যপ্রাচ্যে, ইউরোপে, আমেরিকায় সন্ত্রাস কায়েম করেছে দায়েশ (ইসলামিক স্টেট), আল কায়দা। ঠিক তেমনই দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে জেহাদের নামে সন্ত্রাস কায়েম করেছে লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদ এবং তাদের শাখা সংগঠনগুলি। এদের আদর্শ গণহত্যা, রক্তক্ষয়, বিভীষিকা ও সন্ত্রাস কায়েম করা। তাই এদের নাম যাই’ই হোক না কেন, কাজকর্ম সবই এক। কিন্তু দুঃখের বিষয় সন্ত্রাস দমনের নামে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাছবিচার করা হচ্ছে। এতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে।
[জঙ্গি নয় স্বাধীনতা সংগ্রামী বুরহান, বললেন মা]
এরপরই প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস দমন নিয়ে জি-২০ সম্মেলনে ‘১১ দফা অ্যাকশন প্ল্যান’ পেশ করেন। এই প্রস্তাবের একটি করে কপি উপস্থিত রাষ্ট্রপ্রধানদের হাতে তুলে দেন ভারতীয় কূটনীতিকরা। এর মধ্যে রয়েছে, জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি যেন নিজেদের মধ্যে সন্ত্রাসবাদীদের তালিকা আদানপ্রদান করে এবং অন্য দেশের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীদের গ্রেপ্তার করতে সাহায্য করে।
[চিনের উদ্বেগ বাড়িয়ে বঙ্গোপসাগরে বিশাল ভারতীয় নৌবহর]
The post সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ফের পাকিস্তানকে তুলোধোনা মোদির appeared first on Sangbad Pratidin.