সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনে (Russia-Ukraine War) হামলা চালানোর কারণে রাশিয়ার উপর চাপ বাড়াতে নয়া পদক্ষেপ করল বেশ কয়েকটি পশ্চিমী দেশ। ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) দেশ থেকে তেল আমদানির পরিমাণ কাটছাঁট করা হবে, এমনটাই জানান হয়েছে জি-৭ দেশগুলির তরফ থেকে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও রবিবার আচমকাই ইউক্রেনে গিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। প্রসঙ্গত, জি-৭ (G-7) বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানান হতে পারে, এমনটাই জানা গিয়েছিল বিভিন্ন সূত্রে। ২০২১ সালেও এই বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি।
রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে তেল আমদানি করে পশ্চিমী দেশগুলি। মুখে রুশ বিরোধিতা করলেও তেল আমদানি করা নিয়ে বারবার আঙুল উঠেছে তাদের দিকে। সেই কথা মাথায় রেখেই জি-৭ দেশগুলি জানিয়েছে, “রুশ এনার্জির প্রতি নির্ভরতা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে আমাদের। ধাপে ধাপে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করাও বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে এটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। রুশ তেলের বিকল্প তৈরি করে নেওয়ার সময় দিতে হবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলিকে।” ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, ইটালি, জাপান, ব্রিটেন এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র- এই সাতটি দেশের ফোরাম হল জি-৭।
[আরও পড়ুন: আচমকাই ইউক্রেনে মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন! জেলেনস্কির স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ]
তবে রুশ তেলের বিকল্প কীভাবে তৈরি করা হবে, তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি জি-৭ এর তরফে। রাশিয়ার উপরে নানা বিধিনিষেধ চাপিয়েছে পশ্চিমী দেশগুলি। এমনকী, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করা নিয়ে ভারতের দিকেও আঙুল তোলা হয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকেও পালটা দিয়ে বলা হয়, পশ্চিমী দেশগুলি অনেক বেশি পরিমাণে তেল আমদানি করে। তাই জি-৭ এর এই ঘোষণা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, গতকালই লুহানস্ক অঞ্চলে একটি স্কুলে বোমা ফেলেছে রাশিয়া। সেখানে প্রায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সমগ্র ইউক্রেন দখল করতে না পারলেও বিজয় দিবসের আগে মারিওপোল জয় করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছ রুশ সেনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ৯ মে হিটলারের বাহিনীকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল রাশিয়া। সেই ঘটনার স্মরণে ওই দিনটি বিজয় দিবস হিসাবে পালিত হয়। তার আগের দিনই জি-৭এর এই ঘোষণা পুতিনের আর্থিক মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে। তার ফলে যুদ্ধে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান পাবে না রাশিয়া, এমনটাই বলা হয়েছে ওয়াইট হাউজের তরফ থেকে।