সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৫ সালে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) বিএসপি (BSP) বিধায়ক রাজু পাল খুন হয়েছিলেন। সেই মামলার প্রধান সাক্ষী রাজুর বন্ধু উমেশ পাল খুন হয়েছেন সম্প্রতি। এরপর উমেশকে খুনে অভিযুক্ত আরবাজ এবং উসমানকে এনকাউন্টারে নিকেশ করেছে যোগীর পুলিশ। এই অবস্থায় জেল বসে ভয়ে কাঁপছে বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল খুনে মূল অভিযুক্ত আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed)। এককালের গ্যাংস্টার পরবর্তীকালে রাজনৈতিক নেতা হয়ে ওঠা আতিক জেল থেকে বেরোতেই নারাজ। ভুয়ো দুর্ঘটনা অথবা এনকাউন্টারে তাঁকে মেরে ফেলা হবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। এই অবস্থায় নিজের মামলার শুনানির জন্য আদালতে যেতেও নারাজ বাহুবলী নেতা। ভিডিও কনফারেন্সে মামলার শুনানির দাবি জানাবেন তিনি।
বর্তমানে আতিক রয়েছেন সবরমতী জেলে। উমেশ পাল অপহরণ ও খুনের মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা হতে পারে আগামী ২৮ মার্চ। উমেশকে হত্যায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির ইতিমধ্যে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে। একই কারণে জেল থেকে বেরোতে নারাজ গ্যাংস্টার-সাসংদ। এদিকে ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি দল আতিককে হেফাজতে নিতে সবরমতী জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। তবে আতিক সুপ্রিম কোর্টে মামলা করায় তাঁকে হেফাজতে নিতে শীর্ষ আদালতের ছাড়পত্র লাগবে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতায় এলেই ফিরিয়ে দেব সংরক্ষণ’, কর্ণাটকে নির্বাচনে মুসলিম মন জয়ে বার্তা কংগ্রেসের]
২০০৫ সালে বিএসপি বিধায়ক রাজু পালকে অপহরণ করা হয়। পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হলেও অপহরণের মামলা চালকালীন সে বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দিনের আলোয় হত্যা করা হয় রাজু পালকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। চাপে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেন, রাজ্য থেকে অপরাধ চক্রকে ধ্বংস করা হবে। যদিও সম্প্রতি রাজু পাল খুনে অন্যতম সাক্ষী উমেশ পাল খুন হন। সেই ঘটনার পরে উমেশ পাল খুনে দুই অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এখন রাজু পালকে অপহরণ ও খুনে মূল অভিযুক্ত আতিক আহমেদ জেলে বসেই প্রাণভয়ে সন্ত্রস্ত। তাঁর অনুমান, আদালতে যাওয়ার পথে ভুয়ো দুর্ঘটনা অথবা এনকাউন্টারে তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে।