সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইবোলা (Ebola) ভাইরাসের কথা মনে আছে? ঠিক তেমনই অতি সংক্রামক এক নয়া ভাইরাসের হদিশ মিলল ঘানায়। রবিবার সে দেশের প্রশাসনের তরফে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকেই নাকি এই ভয়ংকর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দু’জন।
ঘানায় দু’ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। গত ১০ জুলাই যার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে রিপোর্ট সঠিক কি না, তা যাচাই করতে সেটি সেনেগালের একটি ল্যাবে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। সেখানেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ঘানা স্বাস্থ্য পরিষেবার (GHS) তরফে জানানো হয়েছে, সেনেগালের ল্যাবের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মারবার্গ ভাইরাসই থাবা বসিয়েছে ওই দু’জনের শরীরে। এটি অত্যন্ত সংক্রামক বলেই চিন্তায় ঘানা প্রশাসন। এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যাঁরা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের ইতিমধ্যেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁদের শরীরে এখনও কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি বলেই খবর।
[আরও পড়ুন: বাংলার রাজ্যপাল পদে শপথ নিলেন লা গণেশন, হাজির মুখ্যমন্ত্রীও]
পশ্চিম আফ্রিকায় এই নিয়ে দ্বিতীয়বার হানা দিল মারবার্গ ভাইরাস (Marburg Virus)। এর আগে গতবছর প্রথমবার এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল গিনিতে। তারপর থেকে এই এক বছরে কোনও আক্রান্তের হদিশ মেলেনি। তবে পূর্ব আফ্রিকায় ১৯৬৭ সালেই এই ভাইরাস থাবা বসিয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। এবার ফের নতুন করে পশ্চিম আফ্রিকায় এই ভাইরাসের হদিশ মেলায় বাড়ছে উদ্বেগ। এ প্রসঙ্গে ঘানাকে সতর্ক করেছেন WHO-এর আফ্রিকার আঞ্চলিক ডিরেক্টর। বলেন, “এই সংক্রমণ রুখতে ঘানার স্বাস্থ্য দপ্তরকে খুব দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। নাহলে নিমেষে তা হাতের বাইরে বেরিয়ে যাবে।”
এই ভাইরাসে আক্রান্তদের শরীরে কী কী লক্ষণ দেখা গিয়েছে? স্বাস্থ্য দপ্তর জানাচ্ছে, ডাইরিয়া, জ্বর, বমিভাব নিয়ে হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁদের। হু’এর তরফে জানানো হয়েছে, ফলখেকো বাদুরের থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয় এই ভাইরাস। এরপর আক্রান্তের শারীরিক সংস্পর্শে তা দ্রুত সংক্রমিত হয়। শুধু তাই নয়, আক্রান্তের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, মেঝে থেকেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ!