সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৬ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তী। দুখহর্তা, সংকট মোচন হিসেবেই হনুমানের প্রার্থনা করে থাকেন ভক্তরা। আবার ভূত বা অলৌকিক শক্তি থেকে মুক্তি পেতেও হনুমানের স্মরণ করা হয়। কিন্তু এমন অনেক বিপদ আছে যা হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে দূর হয়। অনেক মানুষের কাছেই বজরংবলির সেই লীলার কথা অজানা। এই প্রতিবেদনে থাকল তেমনই কিছু বিশেষ তথ্য।
হনুমান চল্লিশা (Hanuman Challisa) পাঠের নানা নিয়ম-বিধিও রয়েছে। তবে প্রচলিত আচার মেনে মঙ্গল ও শনিবার ভোরে স্নান করে সকালেই হনুমান মন্ত্র জপ করে থাকেন ভক্তরা। কিন্তু প্রতিটি বিপদের ক্ষেত্রে হনুমান চল্লিশা পাঠের নিয়ম আলাদা। জীবনে যে ধরনের সংকট মোচনের জন্য রামভক্তের শরণাপন্ন হন মানুষ। সেক্ষেত্রে মন্ত্র পাঠের সঠিক সময় হল রাত। তাহলেই সবরকম প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে সাফল্য মিলবে।
[আরও পড়ুন: বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু ৩০০ টাকার অধ্যাপক নিয়োগের ইন্টারভিউ, বিক্ষোভ এবিভিপি’র]
কখনও সজ্ঞানে আবার কখনও অজান্তেই মানুষ ভুল কাজ বা পাপ করে বসেন। শাস্তির হাত থেকে বাঁচতে ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার বিকল্প হয় না। এক্ষেত্রেও হনুমান (Hanuman Jayanti 2023) চল্লিশার মাহাত্ম অপরিসীম। রাতে আটবার হনুমান চল্লিশার শুরুর লাইনগুলি আওড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন জ্যোতিষীরা। পাপমুক্ত হবে আপনার মন।
অনেক ব্যক্তির উপরই শনিদেব অসন্তুষ্ট থাকেন। ফলে পদে পদে হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়। তাই শনি দশা কাটাতেও শরণাপন্ন হতে পারেন বজরংবলির। পুরানে কথিক আছে, একবার শনিদেবের প্রাণ বাঁচিয়ে ছিলেন হনুমান। প্রসন্ন শনিদেব জানিয়ে ছিলেন, হনুমানের সত্যিকারের ভক্তের তিনি কখনও কোনও ক্ষতি করবেন না। এছাড়া দুষ্টদমনে হনুমান চল্লিশার জুড়ি মেলা ভার। হিন্দি ছবিতেও অনেক সময় দেখা যায়, ভূত তাড়াতে হনুমান মন্ত্র জপ করা হচ্ছে। চল্লিশাতেই রয়েছে, “ভূত পিশাচ নিকট নহি আবে, মহাবীর যব নাম শুনাবে।” যে কোনও ধরনের ভয়, আতঙ্ক কাটে এই মন্ত্রে। এই কারণে শিশুদেরও এই মন্ত্র জপ করার পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা।