সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকাল সকাল বাচ্চার স্কুল সামলে, স্বামী কিংবা নিজের অথবা পরিবারের বাকিদের জন্য ব্রেকফাস্ট তৈরি করার সময় পাচ্ছেন না। অগত্যা চটজলদি প্রাতঃরাশ সারতে পাউরুটিতেই ভরসা রাখছেন! বাটার টোস্ট হোক বা স্যান্ডউইচ, আমবাঙালি এখন এই বিলিতি ব্রেকফাস্টে বেশ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। অনেকের রোজকার ব্রেকফাস্টের রুটিন হয়ে গিয়েছে এই সব পদ। কিন্তু রোজ ব্রেকফাস্টে পাউরুটি খাওয়া কি আদৌ ঠিক? নিজের অজান্তেই শরীরে কোনও বড় বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যতালিকায় পাউরুটি রাখতেই পারেন, তবে রোজ নয়। তাঁদের পরামর্শ, স্বাস্থ্যের কারণেই পাউরুটি খাওয়া কমাতে হবে। কিন্তু ঠিক কী কারণে এমন নিদান দেওয়া হচ্ছে? তাঁরা বলছেন, রোজ পাউরুটি খেলে ABS বা অটো ব্রিউয়ারি সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়। এটি অন্ত্রের একটি বিরল অসুখ, যা আমাদের হজম প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে। দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এর ফলে পেট ফাঁপা, বদহজম, রক্তে শর্করা বৃদ্ধি, দেহে পুষ্টির ঘeটতি, ওজন বৃদ্ধির মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, পাউরুটিতে যেহেতু ময়দা, কার্বোহাইড্রেট, চিনির মিশ্রণ থাকে তাই রোজ এর ব্যবহার কখনওই স্বাস্থ্যকর নয়। পাউরুটি যে পদ্ধতিতে তৈরি হয় তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁদের মতে, পাউরুটি তৈরির সময়ে এতে ছত্রাক সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যায়। ফলে এটি অনেক ক্ষেত্রেই হজম প্রক্রিয়ায় সরাসরি প্রভাব ফেলে।পাশাপাশি মাথাঘোরা, ঝিমুনি ভাবও আসতে পারে। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে ডাক্তার মিকি মেহেতা নিজের সোশাল মিডিয়া পেজে একটি সচেতনতামূলক ভিডিওবার্তা পোস্ট করেছেন। সেখানে ABS সিনড্রোম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি এই সমস্যা এড়াতে কী করণীয় তারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পাউরুটির ক্ষতিকারক প্রভাব এড়াতে তিনি ইসবগুল নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ইসবগুল নিয়মিত ব্যবহার করলে বদহজমের সমস্যা কাটিয়ে অন্ত্রকে সুস্থ রাখা সম্ভব। আপনারাও এবার পাউরুটিকে খাদ্য তালিকায় নিত্যসঙ্গী করার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শকে বিবেচনা করে দেখতে পারেন।