সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে তো সংসারের গুরুদায়িত্ব। তার উপর আবার অফিসের ডেডলাইন। সবমিলিয়ে বহু মহিলাই আর নিজের দিকে নজর দেওয়ার সময় পান না। খিদের সময় পেট ভরলেই যথেষ্ট। ওই খাবার থেকে আদৌ সুষম পুষ্টি শরীর পাওয়া যাচ্ছে কিনা, সেদিকে আর নজর দেন ক'জন? আর তাতেই বিপদ। ৩০ পেরলেই নানা শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত তন্বী। চিকিৎসকদের মতে, বয়স তিরিশের গণ্ডি পেরলেই খাদ্যতালিকায় বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। প্রোটিন রয়েছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সমীক্ষা বলছে, পুরুষদের তুলনায় কমপক্ষে দিনে ১৩ শতাংশ কম প্রোটিনজাত খাবারদাবার খাই। তার ফলে আমাদের দেশের ৭০-৮০ শতাংশ মহিলা প্রোটিনের অভাবে ভোগেন। স্বাভাবিকভাবেই পুরুষের তুলনা প্রোটিনের ঘাটতিতে শারীরিক সমস্যাও বেশি হয় মহিলাদের। কারণ, প্রোটিনই আমাদের শরীরে পেশীশক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকদের মতে, ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সি মহিলাদের বেশি পরিমাণে প্রোটিনজাত খাবারদাবার খাওয়া বেশি প্রয়োজন।
কেন এই বয়সি মহিলাদের বেশি প্রোটিনজাত খাবার খাওয়া দরকার?
চিকিৎসকদের মতে, ৩০-৪০ বছর বয়সিদের শরীরে নানা পরিবর্তন আসে। একে তো ধীরে ধীরে মেনোপজের দিকে এগোন তাঁরা। তার ফলে শরীরে হরমোনের তারতম্য হতে শুরু করে। মুড সুইংয়ের মতো সমস্যাও বাড়তে থাকে। কারও কারও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকতে। আবার কেউ কেউ ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-র ঘাটতিতে ভুগতে থাকেন। প্রোটিন এই সবকিছুর তারতম্যকে সামাল দিতে সাহায্য করে। তাই চিকিৎসকদের মতে, ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সি মহিলাদের সবচেয়ে বেশি প্রোটিনজাত খাবারদাবার খাওয়া প্রয়োজন।
প্রোটিনের অভাবে কী সমস্যা হয় মহিলাদের?
* হু হু করে ওজন কমা
* পেশির দুর্বলতা
* রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া
* মিষ্টি খাবার খাওয়ার ইচ্ছা বৃদ্ধি
* হরমোনের তারতম্য
* মাসিকের সমস্যা
ঠিক কত পরিমাণ প্রোটিন খাদ্যতালিকায় থাকা প্রয়োজন?
একজন মহিলার ওজনের উপর প্রোটিনের মাত্রা স্থির হয়। যেমন - কেজি প্রতি ০.৮-১.২ গ্রাম প্রোটিন থাকা প্রয়োজন। কোনও মহিলার ওজন যজি ৬০ কেজি হয় তবে প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় ৭২-৯৬ গ্রাম প্রোটিন থাকা দরকার।
তাই আজ থেকে আর অবহেলা নয়। মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্যই সম্পদ। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খাদ্যতালিকায় নজর দিন। শুধু পেট ভরার জন্য নয়, সুষম খাবার খাচ্ছেন কিনা তা খেয়াল রাখুন।