সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানসিক অবসাদ। ডিপ্রেশন। আজকের দিনে এই অসুখের চোরাগোপ্তা আক্রমণে জেরবার বহু মানুষের জীবন। মানসিক স্বাস্থ্য যে অবহেলা করার নয়, সেকথা যেন অনেকেরই খেয়াল থাকে না। অথচ এই অবহেলাই ডেকে আনতে পারে মানসিক রোগ! বিষণ্ণতা (Depression) ও উদ্বেগে পথ দেখাতে পারে যোগব্যায়াম। যদিও এই ধরনের মানসিক সমস্যায় যোগাসনে অনীহা আসতেই পারে। তবু সামান্য সময় দিতে পারলেই কিন্তু উপকার পাওয়া যাবে।
তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে। মানসিক সমস্যার চিকিৎসার ক্ষেত্রে যোগাসন কোনও বিকল্প নয়। রোগীদের জন্য চিকিৎসকরা আলাদা আসনের পরামর্শ দিতেই পারেন। সেই সব আসন ও অন্য়ান্য চিকিৎসার কিছুই বাদ দেওয়া যাবে না। এর সঙ্গেই করতে হবে যোগাসন। চিকিৎসক বা থেরাপিস্টের সঙ্গে কথা না বলে অন্য কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা বাদ দেবেন না।
প্রসঙ্গত, যোগাসনে (Yoga) হৃদগতি কমায়। কমায় উচ্চ রক্তচাপ। পাশাপাশিই মানসিক অবসাদ ও উদ্বেগেও দারুণ উপকারী যোগাসন। বলা হয়, সপ্তাহে অন্তত এক থেকে দুবার গড়ে ৬০ মিনিট করে যোগাসন যদি আড়াই মাস ধরে করা যায় তাহলেই দেখা যায় মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির চিহ্নগুলি অনেকটাই অন্তর্হিত হয়। মূলত আসন, প্রাণায়াম ও ধ্যানেই মিলবে সুফল। উত্তনাসন, ভিপারিতা করনি, শবাসনের মতো ব্যায়ামের কথা আলাদা করে বলেন অনেকে।
[আরও পড়ুন: ‘আজাদ কাশ্মীর’ মুছে ‘আর্টিকেল ৩৭০’, দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসে চিন নিয়েও রদবদল NCERT-র]
কীভাবে কাজ করে যোগাসন? এই বিষয়টি এখনও গবেষকরা বুঝতে পারেননি। আশা, আগামিদিনে নিশ্চয়ই এই বিষয়ে আরও পরিষ্কার ছবি পাওয়া যাবে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট কোনও যোগব্যায়ামে বিশেষ ফল মেলে কিনা, তা নিয়েও গবেষণা চলছে।
তবে খেয়াল রাখুন, যদি আপনার বয়স ৫০-এর বেশি হয় অথবা আপনার নিয়মিত ব্যায়ামের অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে যোগাসন শুরুর আগে চিকিৎসকের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করুন। তাছাড়া অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রেও একই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সব দিক মিলিয়ে দেখে যদি যোগাসন করা যায়, তাহলে সুস্থ ও সুন্দর জীবনের চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারে তা।