shono
Advertisement
Hearing Ability

শ্রবণশক্তি হারাচ্ছে অল্পবয়সিরা, সারাক্ষণ কানে হেডফোন গুঁজে রাখাকেই দায়ী করলেন বিশেষজ্ঞরা

বিশেষজ্ঞদের মতে, সস্তার নিম্নমানের হেডফোন ব্যবহারের কারণে ক্ষতির ঝুঁকি আরও বেশি।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 06:58 PM Mar 07, 2025Updated: 06:59 PM Mar 07, 2025

য়েক বছর আগেও শ্রবণশক্তি হারানোর সমস্যা মূলত বয়স্কদের মধ্যেই দেখা যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে চিত্রটা বদলে গিয়েছে। এখন তরুণ বয়সেই অনেকে শুনতে না পাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সাধারণত, বয়সজনিত কারণে হওয়া বধিরতাকে বলা হয় সেনসরিনিউরাল হেয়ারিং লস। তবে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো দেখিয়েছে, অল্প বয়সিদের মধ্যে এই সমস্যার দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ দীর্ঘসময় ধরে হেডফোন ব্যবহারের অভ্যাস। এই পরিস্থিতির ভয়াবহতা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল, অতুল গোয়েল, জাতীয় পর্যায়ে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

Advertisement

সেই প্রেক্ষিতেই ‘বিশ্ব শ্রবণ দিবস’-এ একদল ইএনটি বিশেষজ্ঞ বিশেষ সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেন, যেখানে শ্রবণশক্তি রক্ষার গুরুত্ব ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০০ কোটি মানুষ শ্রবণ সমস্যায় ভুগছেন, যার অন্যতম প্রধান কারণ হেডফোন ও ব্লুটুথ ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার। এই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন অটোল‌্যারিংগোলজিস্টস অব ইন্ডিয়া (AOI)-এর জাতীয় সভাপতি ডা. দ্বৈপায়ন মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দিনে দুই ঘণ্টার বেশি হেডফোন ব্যবহারের ফলে শ্রবণশক্তির উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে উচ্চ ভলিউমে দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে অডিটরি নার্ভ ড্যামেজ হয়ে শ্রবণশক্তি স্থায়ীভাবে হারিয়ে যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সস্তার নিম্নমানের হেডফোন ব্যবহারের কারণে ক্ষতির ঝুঁকি আরও বেশি। সাধারণত রোগীরা কান বন্ধ হয়ে যাওয়া, কানে চাপ অনুভব করা, ক্রমাগত শোঁ শোঁ শব্দ (টিনিটাস) শোনা—এই ধরনের সমস্যাগুলো নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসেন, যার মূল কারণ সেনসরিনিউরাল হেয়ারিং লস। শ্রবণশক্তি মানুষের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ। একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা পুনরুদ্ধার প্রায় অসম্ভব। এমনকী, অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যেও স্বাভাবিক শ্রবণশক্তি পুরোপুরি ফিরে পাওয়া যায় না। তাই কানের যত্ন নেওয়া এবং হেডফোনের যথেচ্ছ ব্যবহার কমানোই সুস্থ থাকার একমাত্র উপায়। কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. উৎপল জানা, ডা. স্নেহাশিস বর্মন, অজয় কুমার খাওয়াস এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা সবাই শ্রবণ স্বাস্থ্য রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • কয়েক বছর আগেও শ্রবণশক্তি হারানোর সমস্যা মূলত বয়স্কদের মধ্যেই দেখা যেত।
  • এখন তরুণ বয়সেই অনেকে শুনতে না পাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
  • সাধারণত, বয়সজনিত কারণে হওয়া বধিরতাকে বলা হয় সেনসরিনিউরাল হেয়ারিং লস।
Advertisement