সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আগামিকাল, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার রায়দান। গত সপ্তাহের বুধবার অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর শুনানির পর রায়দান স্থগিত রাখে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। সূত্রের খবর, আগামিকাল পার্থ জামিন পেলেও তাঁর জেলমুক্তি ঘটবে না। যেহেতু সিবিআইয়ের মামলা রয়েছে তাই এখনই তিনি ছাড়া পাবেন না বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বুধবারের শুনানিতে পার্থর আইনজীবী মুকুল রোহতগি যুক্তি দিয়েছিলেন কীভাবে আইন মোতাবেক জামিন পাওয়ার যোগ্য পার্থ। তিনি দাবি করেন, আর্থিক তছরুপ মামলায় সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর। অর্থাৎ ৮৪ মাসের সাজা হতে পারে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন ছাড়া অন্য কোনও মামলার অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ সাজার এক তৃতীয়াংশের বেশি সময় বিচারাধীন অবস্থায় হেফাজতে রাখা যায় না। সেই সময়সীমা অর্থাৎ ২৮ মাস ইতিমধ্যেই পার করে গিয়েছেন পার্থ। এতএব তাঁর মক্কেলের জামিন মঞ্জুর করা হোক। ইডির আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। পার্থর আইনজীবী আদালতে জানান, প্রয়োজনে পার্থ ভিন রাজ্যে থাকতেও রাজি।
শেষ শুনানিতে আদালত স্পষ্ট করে দেয় যে, অনির্দিষ্টকাল কাউকে বন্দি করা যায় না। সঙ্গে আদালত এও বলে, জামিনে মুক্ত বাকিদের সঙ্গে পার্থর এক মৌলিক পার্থক্য আছে। তাঁদের কেউই মন্ত্রী ছিলেন না। তাছাড়া তাঁর আমলে নিজের দপ্তরেই দুর্নীতি হয়েছিল, তা কার্যত প্রমাণিত। তাই তাঁর একটু লজ্জাও থাকা উচিত। একজন দুর্নীতিগ্রস্থকে জামিন দেওয়া হলে সমাজে কী বার্তা যাবে? সেই প্রশ্নও তোলে আদালত। দুপক্ষের সওয়াল জবাবের পর রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। আগামীকাল সেই শুনানির রায়দান।