সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুবভারতীতে মহারণ। আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগানের (Mohun Bagan) সামনে মুম্বই সিটি (Mumbai City)। মেগা ফাইনালের আগে সবুজ-মেরুন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস শান্ত। একটুও উত্তেজিত নন। প্রতিপক্ষ মুম্বইকে সমীহ করছেন তিনি। ঘরের মাঠ, চেনা পরিবেশ, ভরা যুবভারতীতে নামার আগে দেখে নেওয়া যাক আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দলের শক্তি ও দুর্বলতা।
দারুণ ছন্দে রয়েছে মোহনবাগান। দিমিত্রি পেত্রাতোসদের জয়ের ধারা অব্যাহত। ফাইনালের বল গড়ানোর আগে লিগ শিল্ড খেতাব জিতে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর মোহনবাগান। সেই আত্মবিশ্বাস সঙ্গে করেই আজ সন্ধ্যায় যুবভারতীতে নামবেন পেত্রাতোস-শুভাশিসরা।
[আরও পড়ুন: ‘আমার কেরিয়ারে মোহনবাগানই সেরা দল’, খেতাব জিততে নিজেকে উজাড় করে দেবেন পেত্রাতোস]
টিকিটের চাহিদা রয়েছে। আজকের ফাইনাল ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা বক্স অফিস। ভরা যুবভারতীর শব্দব্রহ্ম মোহনবাগান ফুটবলারদের বাড়তি অ্যাড্রিনালিন ঝরাবে। ঘরের মাঠে এর আগে আইএসএল ফাইনাল খেলেননি হাবাস। সেই নিরিখে বিচার করলে এবারের মেগাফাইনাল সবঅর্থেই অন্য। কাণায় কাণায় পরিপূর্ণ যুবভারতী মোহনবাগানের দ্বাদশ ব্যক্তির কাজ করবে, এ কথা বলাই বাহুল্য। ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পাবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
সাহাল আব্দুল সামাদ ফিট। ওড়িশার বিরুদ্ধে যুবভারতীর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পরিবর্ত হিসেবে তাঁকে নামান স্প্যানিশ মায়েস্ত্রো হাবাস। পরিবর্ত হিসেবে নেমে গোলটিও করেন তিনি। আর সেই গোল মোহনবাগানকে এক ঝটকায় নিয়ে যায় ফাইনালে। ফাইনালে সাহালের দক্ষতা, স্কিল, অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে হাবাসের।
ফর্মে ফিরেছেন অজি বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স। মরশুমে ১৮টি গোল করে ফেলেছেন তিনি। সুযোগ সন্ধানী ফুটবলার। গোলের গন্ধ চেনেন কামিন্স। ফাইনালে কামিন্স ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন যে কোনও মুহূর্তেই।
আন্তোনিও হাবাসের তুরুপের তাস আর এক অজি ফুটবলার দিমিত্রি পেত্রাতোস। মাঠ জুড়ে খেলেন তিনি। দলের আসল চালিকাশক্তিই দিমি। তিনি গোল করতে পারেন। গোল করাতে পারেন। মরশুমে দিমি একাই বহু ম্যাচ বের করে দিয়েছেন। বড় ম্যাচের প্লেয়ার দিমিত্রি পেত্রাতোস। ফাইনালে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার শপথ নিয়েছেন মোহনবাগানের প্রাণভোমরা।
শক্তির সঙ্গে সঙ্গে রক্তাল্পতাও রয়েছে মোহনবাগানে। চাপের মুখে ভুল করে ফেলছে ডিফেন্স। ফাইনালে ডিফেন্স মজবুত করাই লক্ষ্য হাবাসের। ফাইনালের আগে সাংবাদিক বৈঠকে বাগান কোচ নিজেই বলেছেন, ''ফাইনালে এক মুহূর্তে বদলে যেতে পারে ছবি।'' সেই কারণে ডিফেন্স শক্তিশালী করেই নামবেন অভিজ্ঞ কোচ। মোহনবাগানের লেফট ব্যাকে পজিশনে অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে।শুভাশিস বোস ছাড়া অভিজ্ঞ কেউ নেই। টানা খেলে চলছেন তিনি। রয়েছে সারা মরশুম ধরে খেলার ক্লান্তি। টানা তিন ম্যাচ জিতে লিগ শিল্ড জিতে নিয়েছে মোহনবাগান। তার একটা ধকল রয়েছে। তার পরেই খেলতে হয়েছে ঘাম ঝরানো সেমিফাইনাল। ফাইনালে ক্লান্তিকে জয় করাই চ্যালেঞ্জ হাবাসের দলের।