অ্যাডিশনাল ফ্যাক্টর অথেনটিফিকেশন নিয়ে সতর্কতা জারি করল আরবিআই। অসাধু ব্যক্তিদের হাতে যাতে তথ্য চলে না যায়, যে কোনও ধরনের জালিয়াতি যাতে সহজেই এড়ানো যায়-উদ্দেশ্য সেটাই। তবে তা ছাড়াও কার্ড হোল্ডারদের টোকেনাইজেশন নিয়ে সতর্ক করতে চায় নিয়ন্ত্রক। তথ্য সংকলনে টিম সঞ্চয়
অ্যাডিশনাল ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের ব্যাপারে কার্ড ব্যবহারকারীদের সতর্ক করল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। এই মুহূর্তে যেখানে কার্ডের ব্যবহার তুমুলভাবে হচ্ছে, অনেক মার্চেন্ট সংস্থা কার্ডের তথ্য ‘স্টোর’ করছেন বলে জানানো হচ্ছে। কার্ডের নম্বর বা এক্সপায়ারি ডেট রেখে দেওয়া হচ্ছে ব্যবহারকারীর সুবিধার্থে। যদিও এর মাধ্যমে কিছু পেমেন্ট-পদ্ধতি সহজেই হচ্ছে, ডেটা সুরক্ষা নিশ্চিত করা নাও সম্ভব হতে পারে বলে অভিযোগ। অ্যাডিশনাল ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সতর্কতা–-যাতে অসাধু ব্যক্তিদের হাতে তথ্য চলে না যায়। তাহলে আনঅথরাইজড ট্রানজ্যাকশনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে, রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে। ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনিক’ ব্যবহার করে অসাধু ব্যক্তিরাও ‘ফ্রড’ বা অনৈতিক কার্যকলাপ করে থাকে।
টোকেন তৈরির ব্যাপারেও জানিয়েছে ব্যাংক নিয়ন্ত্রক। কার্ডহোল্ডার এককালীন রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন প্রতিটি অনলাইন বা ই-কমার্স সংস্থার ওয়েবসাইটে বা অ্যাপে। ভবিষ্যতে একই সাইটে বা অ্যাপে তিনি চিহ্নিত করবেন তাঁর কার্ডের শেষ চারটি সংখ্যার ভিত্তিতে। একাধিক সংস্থার সঙ্গে একজন কার্ড ব্যবহারকারী স্বছন্দে লেনদেন চালাতে পারবেন। জুন মাসের শেষের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আনুমানিক ২০ কোটি টোকেন চালু করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: শেষ পর্যন্ত বাঁচুন মাথা উঁচু করে, অবসরেও থাকুক আর্থিক স্বাধীনতা]
রিজার্ভ ব্যাংকের এক প্রেস রিলিজ অনুযায়ী, ব্যাংক নিয়ন্ত্রক কার্ডহোল্ডারদের টোকেনাইজেশনের বিষয়ে উৎসাহিত করতে চায়। তাঁদেরই সুরক্ষার খাতিরে এই সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাংকের নীতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বিভিন্ন ব্যাংকিং এবং ফাইন্যান্সিয়াল পরিষেবা সংস্থা তাদের নিয়ম-কানুন কঠোর করে তুলছে বলে খবর। অ্যাক্সিস ব্যাংক যেমন ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের জন্য টোকেনাইজ করার উপর জোর দিচ্ছে। অনলাইন মার্চেন্টরা যেন টোকেন ব্যবহার করেন (কার্ডের তথ্য নয়) এবং গ্রাহকদের নিজস্ব তথ্য সুরক্ষিত রাখেন।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মতে, টোকেনের ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক নয়-কিন্তু গ্রাহকদের নিজে থেকে এ ব্যাপারে রাজি হওয়া উচিত। জনৈক গ্রাহক যদি নিজের কার্ড বদল করেন (বা রিনিউ করেন) তাহলে মার্চেন্টের পোর্টালে নতুন করে টোকেন তৈরি করতে হবে। কার্ড আপগ্রেড হলেও তাই করা দরকার-কারণ নতুন কার্ডের নম্বর (এবং সিভিভি) আলাদা হবে। মার্চেন্ট পোর্টাল যদি হ্যাকিং-এর শিকার হয়, তাহলে কী করতে হবে, তাও অ্যাক্সিস ব্যাংক জানিয়েছে।