সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্রুত গলতে শুরু করেছে হিমালয়ের হিমবাহ। যা প্রায় ২০০কোটি মানুষের জলের অন্যতম প্রধান উৎস। সাম্প্রতিক হিসাব বলছে, ২০১১ ও ২০২০ সালের তুলনায় প্রায় ৬৫শতাংশ বেশি হারে গলে যাচ্ছে হিমবাহ। মঙ্গলবারই এই বিষয় সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের আশঙ্কা এর জেরে ভয়ানক কোনও প্রাকৃতিক
দুর্যোগ খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে।
হিমালয়ের হিন্দুকুশ হিমবাহ উপত্যকা অঞ্চলের প্রায় ২৫০কোটি মানুষের জলের উৎস। শুধু উপত্যকাই নয়, সমতল এলাকারও দেড়কোটি মানুষ এই হিমবাহের জল ব্যবহার করেন। ‘ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনট্রিগ্রেটেড মাউটেন ডেভেলপমেন্ট’ (ICIMOD) এই হিমবাহ নিয়েই তাদের রিপোর্ট পেশ করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। গঙ্গা, সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র, মেকং, ইয়েলো, ইরাবতীর মতো ভারত ও চিনের বহু গুরুত্বপূর্ণ নদী এই হিমবাহের সঙ্গে যুক্ত। এই হিমবাহগুলি কোটি কোটি মানুষকে শুধু জল,খাদ্য ও বিদ্যুৎ জোগায় না পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। আইসিআইএমওডির ডেপুটি চিফ ইজাবেলা কজিয়েল বলেছেন, এশিয়ার প্রায় দু’কোটি মানুষ এই হিমবাহের উপর নির্ভরশীল। তাই এই রিপোর্ট খুবই উদ্বেগ জনক।
[আরও পড়ুন: সংঘাত না সহযোগিতা? ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের পর আমেরিকাকে প্রশ্ন চিনা বিদেশমন্ত্রীর]
বিশ্ব উষ্ণায়ন ও পরিবেশ দূষণ এই হিমবাহগুলি গলে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। তার সঙ্গে রয়েছে আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সকলে যদি নিজেদের পরিবেশের খেয়াল রাখেন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে একজোট হন তাহলে আসন্ন বিপদ কিছুটা হলেও ঠেকানো যাবে। তবে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মতে, প্রাক শিল্পায়ন কালের কথা মাথায় রেখে তাপমাত্রার বৃদ্ধি ১.৫ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখলেও ২১০০ সালের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ থেকে অর্ধেক লোপ পায়ে হিমবাহগুলি।