সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতার স্মারক হিসাবে লর্ড মাউন্টব্যাটনের হাত থেকে এই ‘রাজদণ্ড’ পেয়েছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু। ঐতিহাসিক সেই ‘সেঙ্গল’ এবার সুপ্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে নতুন সংসদ ভবনে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আগামি রবিবার নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিন ওই ‘রাজদণ্ড’ প্রতিষ্ঠা করবেন স্পিকারের আসনের ঠিক পাশে। পাঁচ ফুট উঁচু সেঙ্গলের মাথায় রয়েছে ‘নন্দী’ ষাঁড়। যা ন্যায়বিচারের প্রতীক।
স্বাধীনতার প্রতীক হিসাবে এই রাজদণ্ড দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর (Jawaharlal Nehru) হাতে তুলে দিয়েছিলেন পরাধীন ভারতের শেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ‘সেঙ্গলে’র ইতিহাস বর্ণনা করেন। তিনি জানান, ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে ভারতের শেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন পণ্ডিত নেহেরুকে প্রশ্ন করেন, ভারত যে স্বাধীনতা পাচ্ছে তার প্রতীক কী হবে? উত্তর খুঁজতে তখন দেশের শেষ গভর্নর জেনারেল চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারীর দ্বারস্থ হন নেহেরু।
[আরও পড়ুন: নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মমতা, মোদি সরকারের সঙ্গে সংঘাত আরও তীব্র!]
চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারীই পণ্ডিত নেহরুকে এই রাজদণ্ডের কথা প্রথম বলেন। তামিলনাডুর রাজপরিবারের রীতি অনুযায়ী, নতুন রাজার অভিষেকের সময় হাতে রাজদণ্ড তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। যার সূত্রপাত হয়েছিল সেই চোল রাজাদের শাসনকাল থেকে। সেই প্রথা অনুযায়ী রাজাগোপালাচারি নেহেরুকে এই ধরনের রাজদণ্ড ব্রিটিশদের হাত থেকে তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পণ্ডিত নেহেরুর সেই পরামর্শ বেশ পছন্দ হয়, এবং সেই রাজদণ্ড বানানোর দায়িত্বও পড়ে তাঁর কাঁধেই। ‘রাজাজি’ তামিলনাড়ুর মঠ ‘তিরুভাদুথুরাই আথিনাম’-এর গুরুকে সেটা তৈরির দেন।
[আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার এগরার খাদিকুলে যাচ্ছেন মমতা! দেখা করতে পারেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে]
সেই রাজদণ্ডই পরে রাজাগোপালাচারির হাত ঘুরে চলে আসে মাউন্টব্যাটেনের হাতে। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলনের মিনিট ১৫ আগে সেই রাজদণ্ড নেহেরুর হাতে তুলে দেন। এলাহাবাদের একটি সংগ্রহশালায় এই সেঙ্গলটি রাখা হয়। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আধুনিকতার সঙ্গে যুক্ত করতেই সেঙ্গল নতুন সংসদ ভবনে জায়গা পাবে বলে জানিয়েছেন শাহ।