সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবছরই ভোট মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। তার আগেই বিজেপিশাসিত রাজ্যে প্রকাশ্যে ধর্মান্তরণ ঘিরে বড়সড় চক্রান্তের হদিশ মিলল। গত সপ্তাহেই মধ্যপ্রদেশ পুলিশের জঙ্গি-বিরোধী সংগঠন ATS সন্ধান পেয়েছে কট্টরপন্থী ইসলামিক সংগঠন হিজব-উত-তাহরির (HuT) চক্রান্তের। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১ জনকে। তেলেঙ্গানা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে আরও ৫ সদস্য। এই পরিস্থিতিতে সামনে এসেছে বিস্ফোরক ছবি। দেখা গিয়েছে অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচজন হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করেছিল। এদের মধ্যে তিনজন কয়েক বছর আগে নিজেরাও হিন্দু থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছিল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি তেমনই।
সংবাদমাধ্যমের আরও দাবি, ওই ইসলামিক সংগঠন নাকি আইসিসের থেকেও বেশি বিপজ্জনক। অন্তত ৫০টি দেশে তাদের শাখা বিস্তৃত হয়ে গিয়েছে এরই মধ্যে। গোপনে ওই সংগঠন ভারতেও তাদের কার্যকলাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছিল বলেই তদন্তে উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে, দুই মূল অভিযুক্ত ভোপালের জিম প্রশিক্ষক ইয়াসির খান ও হায়দরাবাদের মহম্মদ সেলিম। তাদের মধ্যে সেলিম কয়েক বছর আগেও সৌরভ রাজবৈদ্য নামে পরিচিত ছিল। পরে সে ধর্মান্তরিত হয়। একই ভাবে আরও দুই অভিযুক্ত আব্দুর রহমান ও মহম্মদ আব্বাস আলিও হিন্দু ছিল। তাদের নাম ছিল যথাক্রমে দেবিনারায়ণ পাণ্ডা ও বেনু কুমার। তাদেরও পরে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ‘ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করবেন না’, বিরোধীদের অভিযোগের মধ্যেই ইডিকে হুঁশিয়ারি সুপ্রিম কোর্টের]
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা আগে হিন্দু ছিল। পরে তারা মুসলিম হয়েছে ধর্মান্তরিত হয়ে। এবং নিজেরাও হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করে জোর করে তাদের ধর্মান্তরিত করে মুসলিম গ্রহণে বাধ্য করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম মহম্মদ সেলিম একটি কলেজের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত ছিল বলেও জানা গিয়েছে। এই সংগঠন কীভাবে জাল বিছাত, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই চক্রান্তকে বোঝার চেষ্টা করছে পুলিশ।