সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর ফুল হিসাবে চাহিদার বিচারে জবার স্থান অনেক উপরে। বিভিন্ন পুজোতে এই ফুলের কুঁড়ি ও মালার বিশেষ চাহিদা থাকে। এই চাহিদাকে সামনে রেখে এখন বহু অনেকেই জবা ফুল চাষে মনোনিবেশ করেছেন।
[বেশি লাভের মুখ দেখতে হলে, বর্ষার মরশুমেই শুরু করুন আমের চাষ]
যে কোনও মাটিতেই জবা গাছ জন্মায়। তবে বেলে-দোঁয়াশ মাটি এই চাষের পক্ষে উপযুক্ত। সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করলে ভাল ফুল পাওয়া যায়। ভাদ্র-আশ্বিন মাসে জবার চারা লাগানো হয়। জবা গাছ বসানোর ক্ষেত্রে প্রতি সারিতে ৩-৪ মিটার অন্তর দেড় ঘন ফুট গভীর গর্ত করতে হবে। চারা লাগিয়ে গোড়ার মাটি চেপে দিতে হবে৷ জলও দিতে হবে প্রয়োজন মতো। মাটির পাশাপাশি টবেও এই গাছ লাগানো যেতেই পারে৷ তবে সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে টবটিতে যেন জল দাঁড়াতে না পারে৷ উপযুক্ত রোদ লাগে, এমন জায়গাতেই টবটি রাখতে হবে৷ শীতকালে উত্তুরে হাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে গাছটিকে৷ দিনে পাঁচ-ছ’ঘণ্টা রোদ থাকে, এমন জায়গায় জবা গাছ বসানোই সবচেয়ে ভাল৷ গাছে ফুল আসার সময়ে প্রতি লিটার জলে ২৫ মিলিলিটার ল্যানোফিক্স মিশিয়ে প্রতিদিন স্প্রে করতে হবে।
[সিডার ও প্যাডি ট্রান্সপ্ল্যানটারে চাষ করলে ফলন বাড়বে প্রায় ২০%]
বর্ষার আগে ও শীতের মরশুমে জবা গাছের গোড়ায় মাটি খুঁড়ে সার দিতে হয়। পুকুরের পাঁকও দেওয়া যেতে পারে। খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে জবা গাছ৷ তবে শীতকালে অন্যান্য ঋতুর তুলনায় কম জল প্রয়োজন হয় জবা গাছের৷ এই সময়ে গাছের গোড়া বেশি ভিজে থাকলে মরে যেতে পারে গাছটি৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গাছকে বছরে দু’বার ছেটে দিতে হবে। ফাল্গুন-চৈত্র ও ভাদ্র-আশ্বিন মাসে গাছটিকে ছেটে দেওয়ার কাজ করতে হবে। সব সময় জমিকে আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
[চা চাষের জমি ফেলে না রেখে তেজপাতা গাছ লাগান]
[বর্ষায় দক্ষিণ দিনাজপুরে জোরকদমে চলছে আমন ধানের চারা রোপণ]
জবা গাছের প্রধান সমস্যা পাতা হলুদ হয়ে যাওয়া৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিকাংশ জল দেওয়ার ফলে মূলত শীতকালে এই সমস্যা দেখা যায়৷ গ্রীষ্মকালে অত্যন্ত তাপে অনেক সময় পাতা শুকিয়েও যায়৷ এছাড়া পাতায় মাঝে মাঝে সাদা দাগ দেখা যায়৷ ওই সমস্যা দেখা দিলে সাবান দিয়ে পাতা ধুয়ে নিতে হবে৷ তবে খেয়াল রাখতে হবে গাছের গোড়ায় যেন সাবান জল না পৌঁছায়৷
The post জবা ফুল চাষ করেও হতে পারে প্রচুর লাভ, পদ্ধতি জানা আছে? appeared first on Sangbad Pratidin.