সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণে (Corona Pandemic) এখনও কাহিল গোটা বিশ্ব। ভ্যাকসিন আসেনি। বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে সামনে এল আরও একটি জটিল রোগ। যা ছড়িয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার সমুদ্র তীরবর্তী দেশ সেনেগালে (Senegal)। সেদেশের প্রায় ৫০০ জন মৎস্যজীবী মারাত্মক এক চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। যারপর তাঁদের প্রত্যেককে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। করোনা অতিমারীর মধ্যেই অজানা এই রোগের আগমন রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মনে।
জানা গিয়েছে, গত ১২ নভেম্বর সেনেগালের ডাকার এলাকায় সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ২০ বছরের এক যুবকের এই চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। চামড়ায় অসহ্য জ্বালা, ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, মুখে জ্বালা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া– একাধিক উপসর্গ দেখা দেয় শরীরে। এরপরই চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে আরও আক্রান্তের খোঁজ মিলতে থাকে। দেখা যায় প্রত্যেকেই পেশায় মৎস্যজীবী এবং সবাই মাছ ধরে ফেরার পরেই এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: রাখে হরি তো মারে কে? ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, করোনার থাবার পর বিষধর সাপের ছোবলেও সুস্থ ব্যক্তি]
এরপরই টনক নড়ে প্রশাসনের। আক্রান্ত ৫০০ জনেরও বেশি মৎস্যজীবীকে কোয়ারেন্টাইনে (Quarentine) পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক সন্দেহে মনে করা হচ্ছে রোগটি ‘ডারেমেটিস’। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের উপর কড়া নজর রাখছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। পাশাপাশি ওই এলাকার সমুদ্রের জলও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেনেগালের স্বাস্থ্যদপ্তর অবশ্য আশাবাদী, খুব শীঘ্রই তাঁরা রোগটির প্রতিকার বের করে ফেলবেন এবং দ্রুত সেটি দূর করা সম্ভব হবে।
এদিকে, করোনার মধ্যেই ভয়ঙ্কর এই চর্মরোগের আগমনে রীতিমতো আতঙ্কিত সেখানকার মানুষরা। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।