অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: রাস্তা দখল করে দোকান তৈরি হয়েছিল। দীর্ঘ সময় ধরে চলছিল ব্যবসা। এবার সেসব দোকানই ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হল। সোমবার দিনভর এই ঘটনায় শিলিগুড়ি শহরে চাপানউতোড় চলে। শিলিগুড়ি পুরসভার পক্ষ থেকে এই অভিযান চালানো হয়। বছরের শেষ দিকে ঘটনায় মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।
অভিযোগ, রাস্তার উপরেই ১২০টি দোকান দীর্ঘ দিন ধরে চলছিল। সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ শিলিগুড়ির ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের চম্পাসারি মোড়ে এই অভিযান চলে। পে লোডার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় সব দোকান। মাস কয়েক আগে শিলিগুড়ি পুরনিগমের তরফে সেসব দোকান ভাঙার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীদের সেই বিষয়ে হেলদোল ছিল না।
জানা গিয়েছে, পাঁচ মাস আগে প্রথম নোটিশ দেওয়া হয়েছিল ব্যবসায়ীদের। তখন সামনেই পুজোর মরশুম। তাই ব্যবসায়ীদের সময় দেওয়া হয়। কিন্তু পুজো কেটে গেলেও ব্যবসায়ীরা সরে যাননি। রাস্তা আটকেই ব্যবসা চলছিল। দোকানগুলি আড়ে-বহরেও বাড়ছিল। ওই রাস্তায় যানজটের অভিযোগও সামনে আসছিল। ফলে ফের নড়েচড়ে বসে পুরসভা। ব্যবসায়ীদের অন্য জায়গায় সরে যেতে বলা হলেও কাজ হয়নি।
বছরের প্রান্তিক সময়ে এই কড়া পদক্ষেপ করল পুরনিগম। কাকভোরে এই উচ্ছেদ অভিযান চলে। অনেক ব্যবসায়ীই খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন। কিছু জিনিসপত্র বার করেও নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যেক ব্যবসায়ীরই মাথায় হাত পড়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে। কোথায় যাবেন তাঁরা? কীভাবে চলবে সংসার? সেই প্রশ্নও উঠেছে। এ প্রসঙ্গে মেয়র গৌতম দেব বলেন, "নোটিশ দিয়েই দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে এর আগেও একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের পুনর্বাসনে আবার বৈঠক হবে। কিন্তু শহরের জন্য আমাদের কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।"