সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচবছর আগে ২০১১ সালে পরিবর্তন দিয়ে যে সরকারের পথচলা শুরু হয়েছিল, তার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হল আজ৷ প্রত্যাবর্তনের সরকারের প্রকাশ্য শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে৷ এবং আজ থেকেই বাংলার মানুষের শুরু হল আরও বড় প্রত্যাশা পূরণের প্রতীক্ষা৷ যা সফল করতে এখন থেকেই প্রস্তুত নতুন সরকার৷ আগামী পাঁচবছরের রোডম্যাপ নিয়ে তৈরি বিভিন্ন দফতরের সচিবরা৷ দুপুরে শপথের পরেই মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে নবান্নে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী৷
নবান্নে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের মমতা বলেন, “আমি একজন এল-আই-পি। লেস ইম্পরটেন্ট পার্সন৷ আমি মানুষের জন্য কাজ করে যাব৷” পাশাপাশি বাংলার মানুষকে সহযোগিতা ও শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি৷ তিনি আরও বলেন, “আজকের এই দিনটাকে সফল করে তোলার জন্য মা-মাটি-মানুষকে ধন্যবাদ৷ এটি মানুষের জয়। এটি গণতন্ত্রের জয়৷ আমরা এই দিনটি মা-মাটি-মানুষকে উৎসর্গ করলাম৷”
বিকেলে বসে তাঁর দ্বিতীয় সরকারের প্রথম ক্যাবিনেট৷ সেখানে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী-সহ ৪২ মন্ত্রী৷ তাঁদের মধ্যে নতুন মুখ ১৮৷ উত্তরবঙ্গ থেকে রয়েছেন চারজন৷ কলকাতা থেকে আটজন৷ শুধুমাত্র মালদহ ছাড়া প্রতিটি জেলা থেকেই মন্ত্রিসভার প্রতিনিধি আছেন৷ তাঁদের সবাইকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন দলনেত্রী তথা সরকারের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নতুনদের বলেন তাঁদের যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তার সদ্ব্যবহার করতে৷ পুরনোদের পরামর্শ, বাড়তি দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে উন্নয়নে কোথাও কোনও খামতি যেন না থাকে তা দেখতে৷
ইস্যুভিত্তিক জোট গড়ে ভোটে নামা বিরোধীদের প্রায় ধুয়েমুছে দিয়েছে৷ তাই তৃণমূলের কাছে প্রত্যাশার পারদও উত্তুঙ্গ৷ আশা পূরণে শপথগ্রহণের দিন থেকেই অতি সক্রিয় হতে চায় সরকার৷ ক্যাবিনেট বৈঠকে তিনি জানিয়ে দেন, ঘরে বসে সরকার পরিচালনা তিনি করেননি৷ প্রশাসনকে পৌঁছে দিয়েছেন জনতার দোরগোড়ায়৷ জেলায় জেলায় গিয়ে বৈঠক করে মানুষের মন বুঝে একের পর এক প্রকল্প চালু করে তাঁদের হৃদয় জয় করেছেন৷ মন্ত্রীদেরও সেই পথেই হাঁটতে হবে৷ এবং পুরস্কার-তিরস্কার নীতির পক্ষে যে তিনি, তাও পরিষ্কার করে দিচ্ছেন৷
আজ রেড রোডে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয়বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ নেওয়ার মুহূর্তে যে করতালি ও উচ্ছ্বাস দেখা গেল তা পাশেই ময়দানের যে কোনও বড় ম্যাচের ভরা গ্যালারির উন্মাদনাকেও হার মানায়৷ আজ রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী শপথবাক্য পাঠ করান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ চারটি গ্রুপ করে মন্ত্রীরা শপথ নিয়েছেন৷ আগেই তাঁকে দলীয় বৈঠকে পরিষদীয় নেত্রী নির্বাচিত করা হয়েছে৷ অর্থাৎ শুক্রবারের দ্বিপ্রাহরিক শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠান আসলে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংসে অভিষেক৷ মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ প্রায় প্রতিটি দফতরের সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতা পুলিশ কমিশনার-সহ পদস্থ কর্তারা ছিলেন৷
The post শপথ নিয়েই নবান্নে বৈঠক, মমতার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু appeared first on Sangbad Pratidin.