নিজস্ব সংবাদদাতা, মালবাজার: চারিদিক পাহাড়ে ঘেরা। সবুজের মাঝে সেই পাহাড় থেকে বয়ে আসছে ঝর্ণার জল। কিছুটা পথ গেলেই শেষ পিচের রাস্তা। পাহাড়ি এই আকা-বাঁকা পথ তখন নিয়ে যাবে অন্য পাহাড়ি গ্রামে বা পাহাড়ের অন্য প্রান্তে। মালবাজার থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে কালিম্পং (Kalimpong) জেলার গরুবাথান ব্লকের উঁচু এলাকায় রয়েছে এমনই এক ঠিকানা। ছোট এই গ্রামের নাম লুনসেল। পুজোয় ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান থাকলে শান্ত-স্নিগ্ধ এই জায়গাটিকে বেছে নিতেই পারেন।
লুনসেল (Lungsel) থেকে কিছু দূরে পিচের রাস্তা শেষ হয়ে যায়। কোনও গাড়ি যাওয়ার পথ নেই। তবে সেখান থেকে হেঁটে বা ট্রেকিং করে অন্য পাহাড়ি গ্রাম কিংবা পাহাড়ের অন্য প্রান্তে অনায়াসে পাড়ি দেওয়া যেতে পারে। ডুয়ার্সের সমস্ত নদনদীর পাশাপাশি লুনসেল থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তও দেখা যায় মন ভরে। রাস্তার পাশে এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে পিকনিকের আয়োজনও করা যায়। মানে বন্ধু-বান্ধব বা পরিবার নিয়ে ঘুরতে গেলে ঘোরার সঙ্গে চড়ুইভাতির আনন্দও উপভোগ করতে পারবেন। লুনসেল রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, দেখা মেলে হরেকরকম পাখিরও। ছোট্ট এই গ্রামটি ঘোরা হয়ে গেলে গাড়ি নিয়ে কাছের লাভা, লোলেগাঁও, ঝান্ডিতেও ঢুঁ মারতে পারেন। পাহাড় প্রেমীদের জন্য নিঃসন্দেহে আদর্শ গন্তব্য লুনসেল।
[আরও পড়ুন: Sundarban Tourism: পয়লা অক্টোবর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে যাচ্ছে সুন্দরবনের দরজা]
এবার নিশ্চয়ই জানতে চাইবেন কীভাবে যাওয়া যাবে। নিউমাল জংশন স্টেশন থেকে গাড়ি করে পৌঁছতে হয় এখানে। মালবাজার-ওদলাবাড়ি-পাথরঝোড়া-মানজিং হয়ে যাওয়া যায় লুনসেলে। আবার গরুবাথান হয়েও পৌঁছনো যায় পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট গ্রামটিতে। ইতিমধ্যেই কিন্তু এখানে আগমন ঘটতে শুরু করেছে পর্যটকদের। পুজোয় বাড়তে পারে ভিড়। বর্তমানে সরকারি কোনও লজ বা হোটেল নেই ঠিকই, তবে একটি বড় হোম স্টে রয়েছে। তাই আগেভাগেই বুকিং সেরে ফেলতে হবে। পাটনা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক শেখর সিং, প্রলয় সিং এবং শিলিগুড়ি থেকে আসা পঙ্কজকুমার ভকত, ফিরোজ খানরা বলছিলেন, “খুব সুন্দর জায়গা। পুজোর সময় পরিবার নিয়ে আবার এখানে ঘুরতে আসব। তবে সরকারিভাবে এখানে হোটেল বা লজ খুললে ভাল হবে।”