সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পড়াশোনার প্রবল চাপে অনেক ক্ষেত্রে আত্মহত্যার (Suicide) পথ বেছে নেন পড়ুয়ারা। অনভিপ্রেত সেই ঘটনায় রাশ টানতে ছাত্রছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা হয় আজকাল, শিক্ষক-পড়ুয়া সম্পর্ককে সহজ ও মজবুত করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অব সায়েন্সেস (Indian Institute of Science) সে পথ না মাড়িয়ে পড়ুয়াদের আত্মহত্যা রুখতে অভিনব উপায় বের করল। খুলে নেওয়া হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হস্টেলের সমস্ত ঘরের সিলিং ফ্যান (Ceiling Fan)।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পড়ুয়া জানিয়েছেন, শুধু হস্টেলের সিলিং ফ্যানগুলি খুলে নেওয়াই নয়, এছাড়াও ‘বিপজ্জনক’ সরু বারান্দা ও ছাদে যাওয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে পড়ুয়াদের জন্যে। ক্যাম্পাসে আত্মহত্যা রুখতেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রত্যাশার চাপ মেটাতে না পেরে আত্মহত্যা! বালির হস্টেল থেকে উদ্ধার জাতীয় স্তরের শুটারের ঝুলন্ত দেহ]
বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অব সায়েন্সেস-এর দুনিয়াজোড়া সুনাম। চলতি বছরে সেখানে ৪ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন। ২০২০ সালে আত্মহত্যা করেন ২ জন। এই অবস্থায় কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকা জারি করেছে, যেখানে বলা হয়েছে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হস্টেলের সমস্ত ঘর থেকে সিলিং ফ্যানগুলি খুলে নিতে হবে। বদলে এমন ফ্যান লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে ঝুলে আত্মহত্যা করা সম্ভব না।
কর্তৃপক্ষ ফ্যান বদল দিলেও তাতে কাজ হবে না বলেই মনে করছে অধিকাংশ পড়ুয়া। এই বিষয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সমীক্ষাও চালানো হয়, ৮৮ শতাংশ পড়ুয়া বলেছে, মনে হয় না ফ্যানের ধরণ বদলে আত্মহত্যা রোখা যাবে বলে। ৯০ শতাংশ পড়ুয়া চান না হস্টেলের ঘরের ফ্যান বদল করা হোক। আর ৬ শতাংশ পড়ুয়া মনে করেন, এই পরিবর্তনে তাঁদের কিছু যায় আসে না।
[আরও পড়ুন: একসঙ্গে কয়েকদিন কাটালেই সেটাকে লিভ-ইন বলা যায় না, মন্তব্য হাই কোর্টের]
এমনিতে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অব সায়েন্সেসে পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে রয়েছে একটি ‘ওয়েলনেস সেন্টার’। তা আদতে নখদন্তহীন, এমনটাই মনে করেন পড়ুয়ারা। এদিকে ইন্সস্টিটিউট অব সায়েন্সেসের মতো বিশ্বখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হস্টেলের ঘরের সিলিং ফ্যান খুলে আত্মহত্যার রাশ টানার চেষ্টা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে কটাক্ষ।