সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশি হেফাজতে মহিলা দলীয় কর্মীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে, বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন ইমরান খান (Imran Khan)। পাক সুপ্রিম কোর্টের কাছে তাঁর আবেদন, মহিলা কর্মীদের বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করুক আদালত। যদিও পাক সরকারের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে বিশ্বের দরবারের পাকিস্তানের (Pakistan) ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এহেন ঘটনা সাজাচ্ছেন ইমরান। তাঁর যাবতীয় অভিযোগ আসলে ভিত্তিহীন বলেই দাবি পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহর।
রবিবারেই একটি সাংবাদিক বৈঠকে সানাউল্লাহ বলেন, “বেশ কিছু ফোনে আড়ি পেতে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে হিংসার ঘটনা সাজানোর পরিকল্পনা করছে পিটিআই। জানা গিয়েছে, দলের এক সমর্থকের বাড়িতে তল্লাশি ও গুলি চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। সেই সঙ্গে মহিলা কর্মীকে ধর্ষণের ঘটনাও সাজাতে চেয়েছে পিটিআই (PTI)। দুই ক্ষেত্রেই গোটা ঘটনার ভিডিও তুলে নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হত, যেন পাকিস্তানে মানবাধিকার পরিস্থিতির নিন্দা করেন বিদেশিরা।”
[আরও পড়ুন: পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সময়েই বিষপ্রয়োগ? হাসপাতালে সংকটজনক বেলারুশের প্রেসিডেন্ট]
পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এহেন দাবি প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আদালতের কাছে আবেদন করেন ইমরান। দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময়ে তিনি বলেন, “মন্ত্রী যা দাবি করেছেন, তারপর তো আমি নিশ্চিত যে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন চালানো হচ্ছে মহিলাদের উপর। আসলে সরকার ভয় পাচ্ছে, আটক মহিলারা মুক্তি পেলে তাঁরা সত্যি কথাটা বলে দেবেন। সেই জন্যই আগে থেকে পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে সরকার।”
এই বক্তৃতা দিতে গিয়েই প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের নানা প্রান্তের জেলেই মহিলা পিটিআই কর্মীদের উপর নির্যাতন চলছে। প্রসঙ্গত, গত ৯মে ইমরানের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আটক হন পিটিআইয়ের বহু মহিলা কর্মী। তাঁদের অনেকেই এখনও মুক্তি পাননি। এহেন পরিস্থিতিতে বিচারব্যবস্থার উচিত মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়ে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করা।