সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পদ খোয়াতেই ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। এবার ইমরানের বিরুদ্ধে বিদেশি অতিথিদের দেওয়া উপহারও বেচে দেওয়ার অভিযোগ। এই অভিযোগ আবার করেছেন খোদ পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তাঁর দাবি, বিদেশি অতিথিদের দেওয়া বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিক্রি করে ১৪ কোটি টাকা নিজের পকেটে পুরেছেন ইমরান।
পাকিস্তানের (Pakistan) নিয়ম মতে, অন্য রাষ্ট্র, ব্যক্তি বা সংস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে যে উপহার দেওয়া হয়, তা সরকারি তোষাখানায় জমা করতে হয়। কোনও প্রধানমন্ত্রী যদি সেই উপহার নিজের কাছে রাখতে চান তবে বস্তুটির অর্ধেক মূল্য দিয়ে তাঁকে সেটা কিনে নিতে হবে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, অনাস্থা প্রস্তাবের জেরে গদি হারানোর পর মাত্র কয়েক লক্ষ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন ইমরান। বাকি অর্থ কোথায় গেল, তার স্পষ্ট কোনও হিসাব নেই।
[আরও পড়ুন: সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠকে কংগ্রেসে যোগের ইচ্ছাপ্রকাশ পিকে’র! পেশ করলেন চব্বিশের ‘রোডম্যাপ’]
শুধু তাই নয় পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের অভিযোগ, ইমরান তোষাখানার সামগ্রী শুধু আত্মসাৎই করেননি। সেগুলি বিক্রিও করে দিয়েছেন। শনিবার শরিফ (Shehbaz Sharif) জানিয়েছেন,”আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি ইমরান খান সরকারি তোষাখানা থেকে উপহার নিয়েছেন এবং সেগুলিকে দুবাইয়ে বিক্রি করে ১৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই উপহারগুলির মধ্যে রয়েছে হীরের গয়না, ব্রেসলেট, ঘড়ি এবং অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী।”
[আরও পড়ুন: ফের এক সারিতে কংগ্রেস, তৃণমূল! দেশবাসীকে একযোগে শান্তিরক্ষার বার্তা সোনিয়া-মমতা-সহ বিরোধীদের]
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সদ্য ক্ষমতা হারানো ইমরানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পাকিস্তানের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (FIA)। ইতিমধ্যে একটি তদন্তকারী দলও গঠন করে ফেলেছে তারা। জানা যাচ্ছে, এফআইএ-র কাছে জমা পড়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একটি বহুমূল্য হার উপহার পান ইমরান খান। কিন্তু নিয়মের সম্পূর্ণ বিপরীতে হেঁটে এক স্বর্ণব্যবসায়ীর কাছে ১৮ কোটি টাকায় সেই অলঙ্কার বিক্রি করে দেওয়া হয়। ইমরানের তৎকালীন স্পেশ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট জুলফিকর বুখারিকে দিয়ে সেই কাজ করানো হয়। পাক তোষাখানার আরও প্রায় ১৪ কোটি টাকার সম্পত্তি মাত্র ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন।