সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস দুয়েক আগে পাকিস্তানের (Pakistan) অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিপাকে পড়ে ‘শত্রু’ ভারতের প্রশস্তি গেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। এবার ফের দু’দেশের সম্পর্কের দূরত্ব মেটাতে আগ্রহ প্রকাশ করলেন ইমরান। তার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে টেলিভিশন-বিতর্কে অংশ নিতেও রাজি তিনি। রাশিয়ায় একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকার এমনটাই জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ঠিক কী বলেছেন ইমরান?
প্রায় ২৩ বছর পরে রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন কোনও পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী। বুধবার ইমারনের রাশিয়ায় পৌঁছানোর কথা। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। রাশিয়া সফরের প্রাক্কালে সাক্ষাৎকারে ইন্দো-পাক সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিভিশনে বিতর্কে অংশ নিতে চাই। আমার মনে হয়, এমন একটি বিতর্কের ফলে উপমহাদেশের কোটি কোটি মানুষের উপকার হবে।”
[আরও পড়ুন: আতঙ্কের মাঝেই ক্ষোভে ফুঁসছে ইউক্রেন, পুতিনের বিরুদ্ধে তৈরি হচ্ছে জনরোষ]
ক’দিন আগেই ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিল পাকিস্তানের অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রক। এদিন ইমরানের গলাতেও শোনা গেল সেই সুর। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত দিনে দিনে পাকিস্তানের শত্রু দেশ হয়ে উঠেছে, এর ফলে কমে যাচ্ছে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য।” ইমরান যোগ করেন, “পাকিস্তান সব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী।” যদিও ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এখনও অবধি পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘রাশিয়া-ইউক্রেন ভাই-ভাই, যুদ্ধ অসম্ভব’, বলছেন ভারতে খেলে যাওয়া ইউক্রেনীয় ফুটবলার]
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ধ্বস্ত অর্থনীতি করোনা কালে আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আগ্রহ দেখাচ্ছে পাকিস্তান। যদিও জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ তথা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আগের মতোই অব্যহত রয়েছে। এই অবস্থায় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সন্ত্রাস ও শান্তি আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। পাকিস্তান ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে বলেও অভিযোগ ভারতের। এই পরিস্থিতি ইমরানের আগ্রহকে ভারত কতটা আমল দেয়, সেটাই এখন দেখার।