সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতভর বৃষ্টিতে ভূমিধস ও হড়পা বান জম্মু ও কাশ্মীরে। রামবন জেলার চন্দ্রভাগা নদীর প্রবল জলস্রোত ভাসিয়ে দিল ধর্মকুন্ড গ্রাম। এই ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি বৃষ্টির জেরে বহু জায়গায় ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়ক। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি।
স্থানিয়দের তরফে জানা গিয়েছে, গত দুই দিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের বহু জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি চলছিল। এই পরিস্থিতিতে নদীর জলস্তর ব্যপকভাবে বেড়ে যায়। হড়পাবানে ভেসে যায় চন্দ্রভাগা নদী সংলগ্ন ধর্মকুন্ড গ্রাম। সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ে ১০টি বাড়ি। আরও ২৫ থেকে ৩০টি বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে ধর্মকুন্ড থানার পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। এলাকা থেকে অন্তত ১০০ জন মানুষকে উদ্ধার করা হয়।
রামবন জেলার পুলিশ সুপার কুলবীর সিং জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টির জেরে বাগনা গ্রামে বাড়ি ভেঙে দুই শিশু-সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুটি হোটেল, বহু দোকান ও অসংখ্য বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের ওই অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিরাপদ যায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি জানিয়েছেন, প্রশাসন গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে। উদ্ধারকাজ চলছে, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের পুনর্বাসন নিয়ে আজই বৈঠকে বসব আমরা। স্থানীয় মানুষকে সতর্ক করে জানানো হয়েছে, নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া তাঁরা যেন ধসপ্রবণ অঞ্চলে না যান।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, এই দুর্যোগের জেরে জম্মু ও কাশ্মীরে পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠেছে। যদিও স্থানীয় প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। রামবান শহরে শিলাবৃষ্টি, তার সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া চলছে। বহু জায়গায় ধস নেমেছে। যার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়ক।
