সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভোরে জম্মুর নাগরোটা (Nagrota) জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের (Terrorist) মধ্যে গুলির লড়াইয়ে খতম চার জঙ্গি। আহত এক জওয়ান। তাঁর ঘাড়ে চোট লেগেছে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) হাইওয়ের উপরে এক টোল প্লাজার কাছে এই সংঘর্ষ হয়। গুলির লড়াই এখনও চলছে বলে জানা গিয়েছে। জঙ্গিরা মোট কতজন ছিল সে বিষয়ে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
আগে থেকেই খবর ছিল। তাই জঙ্গিদের তল্লাশিতে শুরু হয়েছিল নাকা চেকিং। সেই সময়ই আচমকা নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে গুলি চালাতে শুরু করে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা। তারা দ্রুত পালিয়ে সামনের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। এরপরই শুরু হয় গুলির লড়াই। জানা গিয়েছে, জঙ্গিরা বাসে করে জম্মু থেকে কাশ্মীরের দিকে যাচ্ছিল। এর পর থেকে ওই এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। শুরু হয়েছে তল্লাশি। জঙ্গিদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার বিকেলে পুলওয়ামায় (Pulwama) নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই হামলায় কোনও নিরাপত্তা কর্মী আহত না হলেও ১২ জন সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, ওই গ্রেনেডের লক্ষ্য ছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী। কিন্তু সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে সাধারণ মানুষদের উপরে গিয়ে পড়ে। হামলার পরে দ্রুত ওই এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। শুরু হয় তল্লাশি।
[আরও পড়ুন : ‘মানুষের মনোবল ভেঙে যাচ্ছে, এটা বিকাশ না বিনাশ?’ আবারও কেন্দ্রকে তোপ রাহুলের]
ঠিক কী হয়েছিল? জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫টা ৪৫ নাগাদ পুলওয়ামা জেলার ব্যস্ত সড়কে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। চক কাকাপোরায় সিআরপিএফের ৪১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের বাঙ্কার লক্ষ্য করেই ছোঁড়া হয়েছিল গ্রেনেডটি। কিন্তু সেটি শেষ পর্যন্ত গিয়ে পড়ে ব্যস্ত রাস্তায়। আহত বারোজন নাগরিককে দ্রুত হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে দু’দিন আগে রাজধানী দিল্লিতে গ্রেপ্তার করা হয় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের (Jaish-e-Mohammad) দুই জঙ্গিকে। দুজনই জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। একজনের বাড়ি কুপওয়ারা, অন্যজনের বারামুল্লা। তাদের কাছ থেকে পিস্তল ও তাজা গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। সূত্রের খবর, দিওয়ালিতে রাজধানীর একাধিক জায়গায় বড়সড় নাশকতার ছক ছিল জইশের। পাশাপাশি, একাধিক ভিভিআইপি-ও ছিল তাঁদের নিশানায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।