সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশজুড়ে ভুয়ো চিকিৎসকের ছড়াছড়ি! এবার প্রাণ গেল ৫ বছরের এক শিশুর। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই ভাই। যারা নকল ডাক্তার সেজে অস্ত্রোপচার করে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের সিরিয়াওয়া কালা গ্রামের। গত ১৬ মে চিকিৎসার জন্য চরওয়া মানুরি রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ৫ বছরের ছেলেটি। শিশুটির বাবা রাম আসরের অভিযোগ, সেখানে তাঁর ছেলে দিব্যাংশু চিকিৎসায় প্রথম থেকেই গাফিলতি ছিল। সিনিয়র ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিকাশ কুমার (২৬) এবং বিশেষ কুমার (২৫) নামে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্তরা কৌশাম্বী জেলার বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় দুই ভাই জানায়, আনমল নামে ওই বেসরকারি হাসপাতালটি তারা খুলেছেন। হাসপাতালটি দাদা সঞ্জয় কুমারের নামে রেজিস্টার করা। পুলিশ জানিয়েছে, দুই ভাই নিজেদের চিকিৎসক বলে দাবি করে। কিন্তু তাদের কোনও মেডিক্যাল ডিগ্রি নেই। পুলিশের কাছে রাম আসরে আরও জানিয়েছিলেন যে, সেদিন তাঁর ছেলের পায়ে অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সার্জেন ঠিক সময়ে আসতে পারেননি। তখনই দুই ভাই গোটা বিষয়টি দেখে নেওয়ার আশ্বাস দেয়। যার পরিণতি হল মর্মান্তিক। ঘটনার তদন্ত চলছে। ওই হাসপাতালটির লাইসেন্স বাতিল করে সিল করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে মাথায় চুল প্রতিস্থাপনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যোগীরাজ্যে মৃত্যু হয় দুই ইঞ্জিনিয়ারের। তাঁদের অস্ত্রোপচার করেছিলেন কানপুরের দাঁতের ডাক্তার অনুষ্কা তিওয়ারি। বিনীত এবং প্রমোদ নামে দু'জনের মৃত্যুর পর পালিয়ে যায় অভিযুক্ত চিকিৎসক। অবশেষে সোমবার তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। অনুষ্কার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে বহু অসঙ্গতি পায় পুলিশ। যেমন, অস্ত্রোপচারের আগে কোনও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাননি অভিযুক্ত চিকিৎসক। চিকিৎসার পর বিনীতের মাথায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়েছিল বলেও দেখা যায়। এদিকে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার আগে বিনীতকে যে স্লিপ দেওয়া হয়েছিল সেখানে এম্পায়ার ক্লিনিক নামে ড. অনুষ্কার ক্লিনিকটির নাম ছিল না। সেখানে লেখা ছিল অন্য নাম। এমনকী ঠিকানাও অন্য। এমনকী, দশটি ওষুধের কথা লেখা থাকলেও তা কোন চিকিৎসক প্রেসক্রাইব করছেন সেই নাম ছিল না।
