সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নকশাল দমনে ফের বড়সড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর। ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলায় গুলির লড়াইয়ে নিহত অন্তত ছয় মাওবাদী। বস্তারের পুলিশ কর্তা সুন্দররাজ জানিয়েছেন, তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে। ইতিমধ্যেই একে-৪৭ ও এসএলআর রাইফেল-সহ প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশের আরেক কর্তা পিটিআইকে জানিয়েছেন, সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে তারা বড়সড় অভিযান চালান। তিনি বলেন, "এদিন দুপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই চলে। এখনও পর্যন্ত ছয় মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। সেখানে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক ছিল।"
এর আগে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই নিরাপত্তা বাহিনীর মাও দমন অভিযানের বিরাট প্রশংসা করেন। তিনি বলেছিলেন, "বস্তারে নকশালবাদ শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে। এই নকশালবাদের জন্য বস্তারের উন্নয়ন পিছিয়ে আছে। গত এক-দেড় বছরে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের আরও কোণঠাসা করেছে। সরকার চেষ্টা করছে, নতুন প্রকল্প প্রয়োগ করার। বিজাপুরের যুবকরা আজ আমার সঙ্গে বিধানসভায় সাক্ষাৎ করেছে। বিজাপুরে উন্নয়নের কাজ চলছে।"
কিছুদিন আগেই গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন মাওবাদীদের অন্যতম শীর্ষ নেতা সোধি কান্নার। যিনি মাও সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার এবং স্নাইপার বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তাঁর মাথার দাম ছিল আট লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৩১ মার্চ ২০২৬-এর মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূলের ডেডলাইন দিয়েছেন। মঙ্গলবার কমিউনিস্ট অফ ইন্ডিয়া (মাওবাদী) স্বীকার করেছে, এই দমন অভিযানে বড়সড় ক্ষতি হয়েছে নকশালপন্থী গেরিলা বাহিনীর। মৃত্যু হয়েছে ৩৫৭ জন দলীয় সদস্যের। চলতি বছরে শুধু ছত্তিশগড়ে ১৫০ জনের বেশি মাওবাদীকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। এর মধ্যে ১২০ জনের বেশি খতম হয়েছে বস্তার ডিভিশনে।
