সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে ফের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে প্রায় বদলে গেল ভৌগলিক চিত্র। পাহাড়ি নদী ক্ষীরগঙ্গার প্রলয় রূপে কার্যত ধুয়ে সাফ হয়ে গিয়েছে ধারালি নামের একটি গ্রাম। এরপরেই হরসিলের উপরের অংশে জন্ম নিয়েছে এক নতুন হ্রদ।
জানা গিয়েছে হরপা বানের পরে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ মিটার লম্বা একটি হ্রদ সৃষ্টি হয়েছে হরসিলের উত্তর অংশে। এর ফলে পাহাড়ের ঢালের অংশে ফের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কবার্তায় আগামী কিছুদিনে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সেইক্ষেত্রে এই হ্রদের অংশে ফাটল দেখা দিলে সেখানে ফের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এইবার বন্যা হলে তার ধ্বংসাত্মক রূপ আরও ভয়ংকর হতে পারে এই হ্রদের কারণে।
১০ সদস্যের একটি দল ইতিমধ্যেই উত্তরকাশীতে পৌঁছেছে। কীভাবে এই জল দ্রুত বের করে দেওয়া যায় সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। এসডিআরএফ-এর আইজি জানিয়েছেন হ্রদ সংক্রান্ত বিষয়ে সেনা নজর রাখছে। একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেলের নেতৃত্বে তাঁরা তৈরি রয়েছেন সব রকম অবস্থায় সাহায্য করার জন্য।
সেনা সংস্থা বিআরও অর্থাৎ বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন এই অঞ্চলে যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের কাজ চালাচ্ছে। তাঁরা জানিয়েছে হরসিল থেকে ধারালির মাঝে সেনা ক্য্যাম্পের কাছে প্রায় ৬০০ মিটার রাস্তা হ্রদের জলের তলায় চলে গিয়েছে। তাঁরা আরও জানিয়েছে, জল না কমা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ চিত্র তাঁরা বুঝতে পারছেন না। এই চিত্র পরিষ্কার হলে তবেই রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করা সম্ভব। কিন্তু বৃষ্টির কারণে এই কাজের গতি কমে গিয়েছে। সোমবারেও বহু এলাকায় ভারী বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। এই অবস্থায় ফের কবে জীবন স্বাভাবিক হবে সেই অপেক্ষায় স্থানীয় মানুষ।
