সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেক অফের ঠিক পাঁচ মিনিটের মধ্যে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান। মোট ২৪৪ জনকে নিয়ে আহমেদাবাদ থেকে ইংল্যান্ডের গ্যাটউইকগামী বিমান টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। মেঘানিনগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিনের উপর ভেঙে পড়ে AI171 নামের এয়ারবাসটিতে।
কিন্তু কেন দুর্ঘটনা (Air India Plane Crash)? ওড়ার ঠিক পাঁচ মিনিটের পর কীভাবে ভেঙে পড়ল বিমান? এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এয়ারবাস উড়ানের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ। ২০১১ সাল থেকে যাত্রা শুরুর পর এ যাবৎ এই বিমানটি কোথাও দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি। তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটল কীভাবে? নানা জনের নানা মত। কেউ কেউ বলছেন, বিমানের ইঞ্জিনে যান্ত্রিক গোলযোগ ছিল। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞের ধারণা, ওড়ার পর যে কোনও কারণেই হোক, যে উচ্চতায় বিমানটি ওড়ার কথা ছিল, সেই উচ্চতায় সেটি ওঠেনি। কারও কারও ধারণা, বিমানটি পাখির সঙ্গে ধাক্কা খেতে পারে। আবার কোনও কোনও মহল থেকে এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে অন্তর্ঘাতের তত্ত্বও ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণটা কী? সেটা স্পষ্ট হবে ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার হওয়ার পরও। তবে আপাতত বিরোধী শিবির পুরো ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চাইছে।
বিরোধীদের মধ্যে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুর্ঘটনার তদন্ত দাবি করেন। সোশাল মিডিয়ায় অভিষেক লেখেন, "আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছে তাদের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। এই ট্র্যাজেডির কারণ জানতে সরকারের পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করা উচিত।" একা অভিষেক নন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও পুরো ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চেয়েছেন। খাড়গে বলছেন, "সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতি বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্ত হওয়া উচিত। কেন দুর্ঘটনা? কারা দোষী? সবটা সামনে আসা দরকার।"
কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত চেয়েছেন। তাঁর বক্তব্য এই ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তাই জানা দরকার কেন দুর্ঘটনা। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করছেন পিডিপি নেত্রী মেহেবুবা মুফতিও। বিরোধী শিবিরের কেউই অবশ্য সরাসরি অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তোলেননি। তবে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে একযোগে সরব সকলেই।
