সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে কার্যত একঘরে পাকিস্তান। মঙ্গলবার, ভারত সফরে এসে নাম না করেই পাকিস্তানকে কার্যত তুলোধোনা করলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিস।
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের দ্বিচারিতা যে প্রকাশ্যে চলে এসেছে তা কার্যত স্পষ্ট করে দেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব। এদিন নয়াদিল্লিতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথ বিবৃতি জারি করে ভারত ও আমেরিকা। মেটিস বলেন, “বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের জায়গা নেই। যারা সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে ভারতের পাশেই থাকবে আমেরিকা।” শুধু তাই নয়, আফগানিস্তানে গঠনমূলক কাজে ভারতের অবদানের কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তিনি। সন্ত্রাস জর্জরিত দেশটিতে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করার প্রতি ভবিষ্যতে অবদান বাড়িয়ে তুলতেও এদিন নয়াদিল্লিকে আরজি জানান তিনি।
এদিন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তারপরই তাঁদের তরফ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে তোলার কথা বলা হয়। এছাড়াও সীতারমণ জানান, আফগানিস্তানে গণতন্ত্রকে মজবুত করতে সাহায্য করবে ভারত। তবে সেখানে ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের ভারতের পক্ষে বড়সড় কূটনৈতিক সাফল্য। রাষ্ট্রসংঘে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ‘পরম বন্ধু’ চিনও পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়নি। এবার আমেরিকার তোপে আন্তর্জাতিক মহলে কার্যত একঘরে পাকিস্তান। তবে শুধু পাকিস্তান নয়, ম্যাটিসের সফরের নেপথ্যে রয়েছে এক জটিল কৌশলগত অঙ্ক। বিশ্বের অস্ত্র আমদানির তালিকায় প্রথম দিকেই নাম রয়েছে ভারতের। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওই বৃহৎ বাজার দখল করতে এবার মার্কিন অস্ত্রের পসরা নিয়ে এসেছেন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ ম্যাটিস। এছাড়াও চিনকে নজরে রেখে ভারত মহাসাগরে ও দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা মজবুত করতে চাইছে আমেরিকা।
[পাক অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই হবে কবরে, কড়া হুঁশিয়ারি রাওয়াতের]
The post পাকিস্তানকে একঘরে করে ভারতের পাশেই আমেরিকা appeared first on Sangbad Pratidin.
