সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'রাজ্যে ফের এনডিএ সরকার এলে ধর্মান্তকরণ রুখতে কড়া আইন আনা হবে।' ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এমনই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নিজেদের ইস্তেহার পত্রেও সেকথা উল্লেখ করেছে বিজেপি। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলের দাবি, আসলে লাভ জিহাদ রুখতে উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারের পথ অনুসরণ করে মহারাষ্ট্র নির্বাচনের আগে হিন্দুত্বের কার্ড খেলল বিজেপি।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্য জোর করে ধর্মান্তকরণ রুখতে আইন পাশ করিয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন পাশ করা হয় উত্তরপ্রদেশে। মূলত লাভ জিহাদ রুখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। এই আইনে দোষীদের জন্য সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে আইনে। উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি আইন পাশ হয় উত্তরাখণ্ডে। এছাড়া মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, অসমের মতো রাজ্যেও এই আইন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এবার মহারাষ্ট্র নির্বাচনের আগে হিন্দু ভোটকে নিজেদের দিকে টানতে পুরনো কার্ড ঝুলি থেকে বের করল বিজেপি। বেআইনি ধর্মান্তকরণ রুখতে কড়া আইন আনার বার্তা দিল গেরুয়া শিবির। বিজেপি নিজের ইস্তেহারপত্রে জানিয়েছে, রাজ্যে বিজেপির সরকার গঠিত হলে জোর করে ধর্মান্তকরণের মতো ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আনা হবে আইন। বিজেপির বার্তায় স্পষ্ট যে, মহারাষ্ট্রে এনডিএর সরকারে 'লাভ জিহাদ' বা ধর্ম পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনও ঘটনা বরদাস্ত করবে না।
এছাড়া রবিবার মহারাষ্ট্রে বিজেপির প্রকাশিত ইস্তেহারপত্রে মূলত কৃষক, মহিলা ও যুবসম্প্রদায়ের ভোটকে টার্গেট করে তাদের জন্য ঢালাও উপহার ঘোষণা করেছে বিজেপি। ইস্তেহারপত্রের শুরুতেই কৃষকদের ঋণ মুকুবের ঘোষণা করা হয়েছে বিজেপির তরফে। মহিলাদের জন্য প্রতি মাসে ২,১০০ টাকা করে ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। বার্ধক্য ভাতা মাসে ১৫০০ টাকার পরিবর্তে বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে, এছাড়া মহারাষ্ট্রের ২৫ লক্ষ যুবককে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারপত্রে। এর পাশাপাশি ইস্তেহারে বিজেপি দাবি করেছে, ক্ষমতায় এলে ২০২৮ সালের মধ্যে মহারাষ্ট্রকে এক ট্রিলিয়ন অর্থনীতির রাজ্য হিসেবে গড়ে তুলবে তারা।