সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সোমবার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। সেই প্রসঙ্গেই এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তিনি বলেছেন, আপের সব নেতাকেই ভুয়ো মামলায় গ্রেপ্তার করুক কেন্দ্রীয় সরকার। এর পরেই উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে খবর রয়েছে তাঁর কাছে, এমনটাই জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।
কয়েকমাস আগেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ভুয়ো মামলায় ফাঁসানো হতে পারে সত্যেন্দ্র জৈনকে। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই ইডির (ED) হাতে গ্রেপ্তার হন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গেই সাংবাদিক বৈঠক করেন কেজরিওয়াল। সেখানেই তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা তদন্তকারী সংস্থা গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মণীশের (Manish Sisodia) বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা সাজাতে। কয়েকমাস আগেই আমি বলেছিলাম, খুব তাড়াতাড়ি সত্যেন্দ্র জৈনকে (Satyendra Jain) গ্রেপ্তার করা হবে। সেই সূত্র মারফত খবর পেয়েছি, মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করা হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘মাসে ৯০০০ টাকা দেওয়া মানে শোষণ’, ওড়িশার হোমগার্ডদের বেতন নিয়ে কড়া সুপ্রিম কোর্ট]
এরপরেই সরাসরি মোদিকে আক্রমণ করেন তিনি। কেজরিওয়াল বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করব, আপের সকল নেতাকে জেলে ভরে দিন। কেন্দ্রের অধীনে থাকা সব তদন্তকারী সংস্থা একসঙ্গে কাজ করুক। তারপরেই বিধায়ক, মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করে নিক। যত খুশি রেইড করুন। এইভাবে এক এক করে মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করলে সরকারি কাজে অসুবিধা হচ্ছে।” মণীশকে স্বাধীন ভারতের সেরা শিক্ষামন্ত্রী বলেও অভিহিত করেন তিনি।
বিজেপি (BJP) প্রতিশোধের রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছেন কেজরিওয়াল। মার্চ মাসে পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্য পেয়েছিল কেজরিওয়ালের দল। সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, “অনেকে বলছে, আসন্ন হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই ধরনের কাজ করছে বিজেপি। আবার অনেকের ধারণা, পাঞ্জাবে হারের প্রতিশোধ নিতেই নেতাদের ফাঁসাচ্ছে বিজেপি। তবে যাই হোক আমরা ভয় পাই না। পাঁচ বছর আগেও আপ নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। কিন্তু কিছুই প্রমাণ পাওয়া যায়নি।” নিজেদের ঠাট্টা-ইয়ার্কির মধ্যে তল্লাশির উদাহরণ টেনে আনা হয় বলেও জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, “আমাদের সকলের কাছে মোদির সার্টিফিকেট রয়েছে- এই নিয়ে হাসাহাসি করি আমরা।”