shono
Advertisement

Breaking News

শর্টস পরে পরীক্ষার হলে ছাত্রী, পরীক্ষকের নিদানে পর্দা দিয়ে ঢাকতে হল পা!

এই ঘটনায় চূড়ান্ত অপমানিত হয়েছেন বলেই দাবি ওই তরুণীর।
Posted: 01:06 PM Sep 17, 2021Updated: 01:07 PM Sep 17, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের পোশাক ফতোয়া। অসমের (Assam) কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে গিয়ে বিপাকে তরুণী। শর্টস পরে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। পরীক্ষকের নির্দেশে পায়ে পর্দার কাপড় চাপা দিয়ে শেষমেশ পরীক্ষা দিতে হল তাঁকে। চরম অপমানিত হয়েছেন বলেই দাবি ওই তরুণীর।

Advertisement

গত বুধবার অসমের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা ছিল। তেজপুরের বিশ্বনাথ চরিয়ালের বাসিন্দা এক তরুণী তাতে অংশ নেন। গিরিজানন্দ চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেসে সিট পড়েছিল তাঁর। নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী বাবার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। ‘দোষ’ একটাই শর্টস (Shorts) পরে গিয়েছিলেন ওই তরুণী।

[আরও পড়ুন: বিশ্বসেরা আর জি কর হাসপাতাল, পয়জন ইনফরমেশন সেন্টারকে স্বীকৃতি দিল WHO]

পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় অ্যাডমিট কার্ড পরীক্ষা করেন এক নিরাপত্তারক্ষী। তিনি পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে কোনওরকম বাধা দেননি। তাই খুব সহজেই পৌঁছে যান পরীক্ষাকেন্দ্রে। তবে পরীক্ষার হলে ঢুকতে গিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। অভিযোগ, পরীক্ষক তাঁর শর্টস নিয়ে আপত্তি করেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ওই পোশাকে পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। তরুণীর দাবি, অ্যাডমিট কার্ডে নির্দিষ্ট করে কোনও পোশাকের কথা উল্লেখ ছিল না। তাই তিনি শর্টস পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হন। তাই পরীক্ষকের সঙ্গে কার্যত বচসায় জড়িয়ে পড়েন তরুণী।

এরপর শর্তসাপেক্ষে তরুণীকে পরীক্ষায় বসতে দিতে রাজি হন পরীক্ষক। তিনি জানান, পা ঢাকা প্যান্ট পরলে তবেই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে। বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি পরীক্ষাকেন্দ্রের আশেপাশে পোশাকের দোকান খুঁজতে বেরোন ওই ব্যক্তি। তবে মেয়ের জন্য প্যান্ট পাননি তিনি। ফিরে আসার পর পরীক্ষক জানান পর্দার কাপড় পায়ে ঢেকেই বসে পরীক্ষা দিতে পারেন তরুণী। তাঁর দাবি, পোশাক নিয়ে ওই পরীক্ষক ফতোয়া জারি করেছেন ঠিকই। তরুণীর আক্ষেপ, করোনা পরিস্থিতিতে কোনও পড়ুয়া মাস্ক পরেছেন কিনা, তা নিয়ে সামান্যও মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি পরীক্ষককে। অথচ শর্টস নিয়ে রীতিমতো তাঁকে অপমান করা হয়। ছেলেরা শুধুমাত্র গেঞ্জি পরলে কোনও আপত্তি তোলা হয় না। তা সত্ত্বেও মেয়েদের ক্ষেত্রে কেন এত বিধিনিষেধ, তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: মালদহে জ্বরে আরও এক শিশুর মৃত্যু, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে গেল বিশেষজ্ঞ দল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement