সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদে দুর্ঘটনাগ্রস্থ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি বি জে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে গিয়ে ধাক্কা মারে। ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তীব্র বিস্ফোরণ হয় বিমানটিতে। সেই মুহূর্তে এলাকার তাপমাত্রা ১০০০ জিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়। ব্যাপক ক্ষতি হয় হস্টেল ভবনটির। বেশ কয়েকজন ডাক্তারি পড়ুয়া জখম হন। সূত্রের খবর, কয়েকজন পড়ুয়ার মৃত্যুও হয়েছে। এরই মধ্যে বি জে মেডিক্যাল কলেজের সমস্ত অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা আপাতত বাতিল ঘোষণা করল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ বিমানন্দর থেকে টেক অফের ২৭ সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমান। মৃত্যু হয় বিমানে থাকা ২৪১ জনের। বরাত জোরে প্রাণে বাঁচেন একজন যাত্রী। এদিকে বিমানটি যে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে এসে ধাক্কা মেরে সেখানেও সে সময় একাধিক ডাক্তারি পড়ুয়া উপস্থিত ছিল। দুর্ঘটনার জেরে তাঁরাও আহত হন। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় যে হস্টেলটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেখানে প্রায় ২০০ জন ডাক্তারি পড়ুয়া থাকতেন। সূত্রের খবর, এই দুর্ঘটনার জেরে কমপক্ষে ৪০ জন হবু ডাক্তার জখম হন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাকীরা।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে এও জানা গিয়েছে, জখম পড়ুয়ারা সুস্থ হয়ে উঠলেই এই সকল পরীক্ষাগুলি পুনরাও নেওয়ার ব্যবস্তা করা হবে। মেডিক্যাল কলেজের এই বরিষ্ঠ আধিকারিক বলেন, “পড়ুয়াদের মানসিক অবস্থার কথা চিন্তা করে এবং হস্টেল ভবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর আপাতত পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এদিকে ইতিমধ্যেই আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪। তবে সরকারিভাবে এখনও এবিষয়ে কিছু জানানো যায়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন তদন্তকারীরা। আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার পৃথকভাবে তদন্ত করছে ডিজিসিএ এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের অধীন এয়ারক্রাফ্ট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)। আমেরিকা সরকারের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) এবং ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) সম্মিলিতভাবে আমেরিকা থেকে তদন্ত সহযোগিতা করছে। এদিকে এই দুর্ঘটনার পর স্থানীয়দের অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপ পুরোপুরি সরানো হলে আরও মৃতদেহ উদ্ধার হতে পারে ওই এলাকা থেকে।
