সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সংসদে দাঁড়িয়ে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে 'বঙ্কিমদা' বলে সম্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবারের পর বুধবারও সংসদে নাম বিড়ম্বনা। এবার প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র বাজপেয়ী বলে উল্লেখ করলেন খোদ তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তা নিয়ে সংসদে উপস্থিত সকলেই তাজ্জব। ওঠে হাসির রোল। সমালোচনাও করছেন কেউ কেউ।
এদিন এসআইআর নিয়ে বিরোধীদের চোখা চোখা ভাষায় আক্রমণ করছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথম দফায় কংগ্রেসকে একহাত নেন তিনি। কখনও নাম করে আবার কখনও নাম না করে রাহুল গান্ধীকে খোঁচা দেন বিজেপি সাংসদ। তারপর আসেন বাংলার এসআইআর প্রসঙ্গে। তাঁর কথায়, "বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন এসআইআর করতে দেব না, হল তো। কেন এসআইআর নিয়ে গালাগাল করছেন?" সংসদের অভিযোগ, বাংলায় অনুপ্রবেশ রুখতে কাঁটাতার লাগানোর জন্য় জমি দেওয়া হয়নি। তার জেরে বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের ভিড় বলেই দাবি তাঁর। আর তাদের নকল পরিচয়পত্র তৈরিতে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
সংসদে দাঁড়িয়ে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নেন। দাবি করেন, তাঁর সংসদীয় এলাকায় সবচেয়ে বেশি 'ভূতুড়ে' ভোটার পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত হওয়ার দাবিও জানান অভিজিৎ। এসআইআরের আতঙ্কে আত্মহননের মতো অভিযোগের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপি সাংসদ। এরপরই নামবিভ্রাটে জড়ান তিনি। মুখ ফসকে বলে ফেলেন, "আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র বাজপেয়ী।" পরে অবশ্য ঢোঁক গিলে নরেন্দ্র মোদি বলেন। তিনি দাবি করেন, বাংলার শাসক শিবির নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহর নাম শুনলে কাঁদতে শুরু করেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর আর্জি, বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে এসআইআর-এর কাজ শেষ করা হোক।
