সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্লাসে দুষ্টুমি করছিল তৃতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়া। মারধর করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। এলোপাথাড়ি মারার চোটে তার এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যেতে বসেছে বলে অভিযোগ তুলেছে অভিভাবক। কমিটি গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শিক্ষাদপ্তর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মুরাদাবাদে।
পড়ুয়ার মা জ্যোতি কাশ্যপ জেলাশাসকের কাছে ঘটনার অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, ভোগপুর প্রাইমারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা গীতা করাল তাঁর মেয়ে প্রচণ্ড মারধর করেন। আঘাতে তার মেয়ে এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যেতে বসেছে। এছাড়াও একাধিক আঘাত রয়েছে। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষিকা। তিনি জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীর আগে থেকেই চোখের সমস্যা ছিল। তিনি বলেন, "সহপাঠীর কনুইয়ের আঘাতে ওই ছাত্রীর চোখ আগে থেকেই ফুলে গিয়েছিল।"
ঘটনার দিন ওই পড়ুয়ার মা তাকে আনতে গেলে বিষয়টি দেখতে পান। তিনি প্রধান শিক্ষিকার কাছে জানতে চান, মেয়ের চোখে আঘাত লাগল কী করে। এরপরই মেয়ের শারীরিক রিপোর্ট চান। তবে প্রধান শিক্ষিকা মেডিক্যাল রিপোর্ট দিতে পারেন না বলে জানিয়ে তা দিতে অস্বীকার করেন গীতা। অভিযোগ, পড়ুয়ার মা প্রধান শিক্ষিকাকে হুমকিও দিয়েছেন।
অভিযোগ পাওয়ার পরই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। শিক্ষা আধিকারিক অজিত কুমার বলেন, "অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
