shono
Advertisement

বিয়েতে দেদার নাচাগানা, আতশবাজি পোড়াচ্ছেন? ‘নিকাহ’পড়াবেন না মুসলিম ধর্মগুরুরা

আগেই এই বিষয়ে প্রচার চালিয়েছিল মুসলিম ধর্মগুরুদের সংগঠন 'জামিয়ত উলামা-ই-হিন্দ'।
Posted: 06:49 PM Dec 01, 2021Updated: 07:03 PM Dec 01, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের অনুষ্ঠান (Wedding Ceremony) মানেই আনন্দ, হইহুল্লোড়, গানবাজনা, খাওয়াদাওয়া। তবে শরিয়ত আইন সেই মান্যতা দেয় না। ফলে উত্তরপ্রদেশের মিরাট জেলার (Meerut District of UP) কিঠোর শহরের (Kithore Town) মুসলিম ধর্মগুরুরা অন্য ফরমান জারি করলেন। তাঁরা জানিয়ে দিলেন, মুসলিম বিয়েতে নাচগান, আতশবাজি পোড়ানো, দাঁড়িয়ে খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত হলে তাঁরা সেই ‘নিকাহ’ পড়াবেন না। কারণ এসবই ইসলাম বিরুদ্ধ কাজ।

Advertisement

সম্প্রতি এই বিষয়ে কিঠোর শহরে একটি বৈঠক করেন মুসলিম ধর্মগুরুরা। সেখানেই তাঁরা একজোট হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, শরিয়তি আইন অনুযায়ী মুসলিম বিয়েতে ডিজে বাজানো, নাচ করা, আতশবাজি পোড়ানো ও দাঁড়িয়ে খাওয়াদাওয়ার করা যাবে না। যে সব পরিবার তাদের বাড়ির বিবাহ অনুষ্ঠানে এই ধরনের আয়োজন করবেন, সেখানে ধর্মীয় মতে বিয়ে দিতে ধর্মগুরুরা উপস্থিত থাকবেন না। ইতিমধ্যে কিঠোরের প্রবীণ ব্যক্তিরা ধর্মগুরুদের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন ও স্বাগত জানিয়েছেন।

[আরও পড়ুন: ইউপিএ’র অস্তিত্ব নেই, লড়ছে না কংগ্রেস! পওয়ারকে পাশে নিয়ে বললেন মমতা]

তবে কিঠোরের মুসলিম ধর্মগুরুদের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত কেবল শরিয়ত বিরুদ্ধ আচরণকে রুখতেই নয়, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্রকে করে যে বাড়াবাড়ি হইহট্টগোল হয়ে থাকে আজকাল, তাকে রোখার জন্যও।

মাস কয়েক আগেই মুসলিম ধর্মগুরুদের সংগঠন ‘জামিয়ত উলামা-ই-হিন্দ’ (Jamiat Ulama-I-Hind) এই বিষয়ে প্রচারও চালিয়েছিল। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উদ্দেশে জামাতের পরামর্শ ছিল, বিয়ের অনুষ্ঠানে ডিজে বাজানো, আতশবাজি পোড়ানো আসলে অর্থহীন একটি বিষয়। এতে কেবল অকারণ অতিরিক্ত খরচই হয়।

[আরও পড়ুন: VAT কমাল কেজরিওয়াল সরকার, রাজধানীতে একধাক্কায় লিটারে ৮ টাকা কমছে পেট্রলের দাম]

এবারে পাকা সিদ্ধান্ত হল, বিয়েতে ডিজে বাজানো, আতশবাজি পোড়ানো, নাচ করা এবং দাঁড়িয়ে খাওয়াদাওয়া করা যাবে না। দাঁড়িয়ে খাওয়াদাওয়া নিয়ে আপত্তির কারণ, শরিয়ত বসে খাওয়াকেই মান্যতা দেয়।

ধর্মগুরু মুফতি সাদ্দামের (Mufti Saddam) বক্তব্য, “বিয়ের সময় গান বাজানো সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী একটি কাজ। তাছাড়া বিয়ের দিনে আতশবাজি পোড়ানো, তীব্র শব্দে ডিজে বাজানোর ফলে অনেক সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। শহরের সব ধর্মগুরুরই বক্তব্য, এই ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে সমাজের মন্দ ছাড়া ভাল হয় না। এইসঙ্গে জলের মতো অর্থও খরচ হয়। ফলে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, যে বিষয়গুলি বারণ করা হয়েছে তা চালিয়ে গেলে এরপর থেকে তাঁরা নিকাহ করাবেন না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement