সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেস এবং তৃণমূলকে আরও কাছাকাছি নিয়ে এল এনআরসি। দিল্লিতে ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে ফের বিরোধী ঐক্যের পক্ষে সওয়াল করলেন তৃণমূলনেত্রী। অসমের এনআরসি নিয়েও কংগ্রেস শীর্ষনেতৃ্ত্বের সঙ্গে আলোচনা করলেন মমতা।
[ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিষিয়ে দেবে এনআরসি, উদ্বেগ মমতার]
দিল্লি গেলেই কংগ্রেসের কোনও না কোনও শীর্ষ নেতা মমতার সঙ্গে দেখা করতে আসেন, অন্তত গত কয়েকটি সফরে এমনটাই দস্তুর হয়ে উঠেছে। মমতাও একাধিকবার সনিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন। কিন্তু একই সঙ্গে সনিয়া এবং রাহুলের সঙ্গে মমতার সাক্ষাৎ বিরল। রাজনৈতিক মহল মনে করছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল যে কাছাকাছি আসছে তা এতেই বোঝা যাচ্ছে। বৈঠক শেষে মমতার মুখেও খানিকটা তেমনই সুর শোনা গেল। তৃণমূলনেত্রী বললেন, “আমরা জোটবদ্ধ নেতৃত্বে বিশ্বাসী। আগামী দিনে সব বিরোধী দল মিলে একসঙ্গে লড়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। যদি সংসদের মধ্যে আমরা একসঙ্গে লড়তে পারি সংসদের বাইরে কেন পারব না।” মমতার বক্তব্যে স্পষ্ট আগামীদিনে বিজেপি বিরোধিতায় যে বৃহত্তর ফ্রন্টের কথা বলা হচ্ছে তাতে কংগ্রেসর শামিল হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়ল। তবে, এরাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। সুত্রের খবর সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠকে মমতা বলেন, বিজেপি নার্ভাস হয়ে পড়ছে। এনআরসি ইস্যুতেও আলোচনা হয়েছে দুই নেত্রীর মধ্যে। বৈঠক শেষে তৃণমূলনেত্রী বলেন, দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে ধরণের আলোচনা হওয়া স্বাভাবিক আমরা তেমনই আলোচনা করেছি।
[‘বাংলায় কি গৃহযুদ্ধ হচ্ছে না?’, মমতাকে পালটা প্রশ্ন রূপার]
সনিয়ার বিরুদ্ধে বৈঠকের পর এনআরসি ইস্যুতে সুর আরও চড়িয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, বিজেপি রাজনৈতিকভাবে চিন্তায় আছে, কারণ তারা জানা তাঁরা আর ক্ষমতায় ফিরবে না। আমি অসমের ৪০ লক্ষ মানুষ নিয়ে চিন্তিত। বিজেপি নেতাদের চাকর নই, যে ওঁরা যা বলবে তাঁর জবাব দিতে হবে।