সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত 'পলাতক'দের চাপে ফেলতেই ২০১৮ সালের নতুন আইন এনেছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। সেই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজয় মালিয়া। কিন্তু ঋণখেলাপি 'পলাতক' শিল্পপতির কোনও কথাই শুনতে চাইল না উচ্চ আদালত। স্পষ্ট জানিয়ে দিল, মালিয়াকে আগে দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তার পরেই তাঁর কথা শোনা হবে।
২০১৬ সাল থেকে ব্রিটেনে রয়েছেন মালিয়া। সম্প্রতি বম্বে হাই কোর্টে দু'টি মামলা দায়ের করেছেন তিনি। একটি মামলায় তাঁর প্রশ্ন, কোন যুক্তিতে তাঁকে পলাতক আর্থিক অপরাধী বলা হচ্ছে? আর দ্বিতীয় মামলাটিতে ২০১৮ সালের আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মালিয়া। এই দুই মামলার প্রেক্ষিতে বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শ্রী চন্দ্রশেখরের বেঞ্চের বক্তব্য, মালিয়া যতক্ষণ না দেশে ফিরে প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করছেন, ততক্ষণ তাঁর আবেদন শোনা হবে না।
যদিও মালিয়ার আবেদন খারিজ করে দেয়নি বম্বে হাইকোর্ট। তবে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, মালিয়ার দুটো মামলা শোনা সম্ভব নয়। যে কোনও একটি মামলা তাঁকে তুলে নিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারি। তার মধ্যেই শিল্পপতিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তিনি মামলা রাখতে চান আর কোনও মামলা তুলে নিতে চান।
‘কিংফিশার’ উড়ান সংস্থার (বর্তমানে অস্তিত্বহীন) মালিক ছিলেন মালিয়া (Vijay Mallya)। ১৭টি ভারতীয় ব্যাঙ্ক থেকে কিংফিশার এয়ারলাইন্সের জন্য প্রায় ন’হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই টাকা মেটাতে না পারায় ২০১৬-র মার্চ মাসেই দেশ ছাড়েন কিংফিশার কর্তা। এর পরেই তাঁকে পলাতক ঘোষণা করা হয়। পরে ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল লন্ডনে গ্রেফতারও হন মালিয়া। ভারতে ঋণখেলাপ-সহ একাধিক মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। কিন্তু গ্রেফতারির তিন ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই জামিনে মুক্তি পেয়ে যান তিনি। মালিয়াকে দেশে ফেরানোর জন্য ভারত দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা চালালেও এখনও কোনও সুরাহা হয়নি।
